মিঠুন হতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী

অবশেষে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ কি পেয়ে গেলেন সেই বঙ্গতনয়কে যিনি দিদির বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে মুখ্যমন্ত্রীত্বের ব্যাট ধরবেন? বাঙালি সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী কি সেই মুখ?

রোববারই (৭ মার্চ) ব্রিগেডে মোদির সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন মিঠুন। তারপর একটার পর একটা টেলিভিশন ইন্টারভিউ।

বেলগাছিয়ায় বোনের বাড়িতে মিঠুনকে যখন টেলিফোনে ধরা গেল তখন তিনি অত্যন্ত ক্লান্ত। প্রথমে নকশাল, অতঃপর বাম, তারপর তৃণমূল এবং এখন বিজেপি। মানুষ তাঁর এই ভোলবদলকে কি ভাবে নেবেন?

মিঠুন জানালেন, সেই আঠারো বছর বয়েস থেকে তিনি না খেতে পাওয়া মানুষের জন্যে কাজ করার পথ খোঁজার চেষ্টা করছেন। এতদিনে তাঁর মনে হচ্ছে সেই পথের সন্ধান এবার মিলবে, তাই তিনি বিজেপিতে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্যে তিনি কি বিজেপির মুখ? এই প্রশ্নের জবাবে রহস্যময় হাসি হেসে নিরুত্তরই রইলেন মিঠুন। বিজেপিও মুখে কুলুপ এঁটেছে উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানের মথুর সেন গার্ডেন লেনের ছেলে গৌরাঙ্গকে তারা প্রার্থী করছে কিনা।

গৌরাঙ্গ যখন মিঠুন হননি তখন মথুর সেন গার্ডেন লেনের আর এক বাসিন্দা অমৃতবাজার পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিক শচীন সেনের কাছ থেকে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের টিকিট নিয়ে খেলা দেখতে যেতেন। শচীন সেন ছিলেন আজকের বিজেপি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র দাদু।

মিঠুন বললেন, আমি কিছু পাওয়ার জন্যে কোনোদিন রাজনীতি করিনি। জ্যোতি আংকেল, সুভাষ দা দের লড়াই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। কিন্তু, পরে তৃণমূলের এম পি হলেও এই রাজ্যে আমার এক চিলতে জমিও নেই।

পাওয়ার জন্যে রাজনীতি মিঠুন চক্রবর্তী করেনা। অনেক রাত। সারাদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত মিঠুন। কঠিন অসুখ তাঁকে বিপর্যস্ত করলেও তাঁর মানসিক শক্তিকে টলাতে পারেনি।

আবার বললেন, তিনি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি করে দেবেন। কিন্তু কাদের? মিঠুন মুচকি হেসে বললেন, বুঝো যে জন জানোহ সন্ধান!-মানবজমিন।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর