৭ মার্চের সভায় আ.লীগের দুই নেতার হাতাহাতি

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের ৭ মার্চের আলোচনা সভায় দুই নেতার মধ্যে হাতাহাতি ও বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৭ মার্চ) বিকেলে একই আলোচনা সভায় দুই দফা এমন ঘটনায় নেতা-কর্মীরা হতবাক হয়ে যান। এ সময় জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এদিকে দুই নেতার হাতাহাতির ঘটনার ছবি ধারণ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য। ছবি তোলার পর তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। ছবি মুছে দেওয়ার পর ছাত্রলীগের এক নেতা মুঠোফোন ফেরত দেন।

দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ৭ মার্চ উপলক্ষে বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ শহরের এনএস রোডে বঙ্গবন্ধু মার্কেটের চতুর্থ তলায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। নির্ধারিত সময় বেলা তিনটা হলেও সভা শুরু হয় বিকেল চারটায়। সভা চলাকালে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক খন্দকার ইকবাল মাহমুদ বক্তব্য দিতে ওঠেন।

এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী তাঁকে ‘তুচ্ছতাচ্ছিল্য’ করে কটু কথা বলেন। ইকবাল মাহমুদ এর প্রতিবাদ করলে দুই নেতার মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দু–তিন মিনিট ধরে চলে এ অবস্থা। একপর্যায়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীর সঞ্চালনায় সভা চলতে থাকে। সেখানে অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আলোচনা সভা শেষে মঞ্চ থেকে নামার সময়ও দুই নেতা আবার বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় একে অন্যের দিকে তেড়ে যান। আবার সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করেন নেতারা।

এ দৃশ্য ধারণ করার সময় সেখানে দায়িত্বরত গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্যের মুঠোফোন কেড়ে নেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ। ওই গোয়েন্দা সদস্য অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাফিজ মুঠোফোন কেড়ে নেন। ছবি যা ছিল, সব মুছে দিয়ে মুঠোফোনটি ফেরত দেন তিনি।

ঘটনার পর এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাফিজ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘একজন জুনিয়র ছেলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আপত্তিকর কথা বলে। সে সব সময় খবরদারি দেখায়। খারাপ আচরণ করায় এমন ঘটনা ঘটে। এটা মোটেও সমীচীন নয়।’

আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসান মেহেদী বলেন, ‘সিনিয়রদের বক্তব্য দেওয়া নিয়ে একটু উত্তেজনা ও ঝামেলা হয়। এটা নিয়ে লজ্জাবোধ করছি। তবে পরে এটা ঠিক হয়ে গেছে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটু সমস্যা হয়েছিল। সব ঠিক হয়ে গেছে। তেমন কিছু নয়।’

বার্তাবাজার/ই.এইচ.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর