শপিং করে টাকা না দিয়ে বললেন ছাত্রলীগ সভাপতির নাম

চেইনশপ টপ টেন লিমিটেডের বরিশাল আউটলেটে শপিং করার পর টাকা চাইতেই বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি পাঠিয়েছেন বলে জানান ক্রেতারা। কিন্তু তাতেও বিক্রেতারা টাকা চাওয়ায় তারা ভাংচুর চালান দোকানে।

রোববার সন্ধ্যার এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা নিজেদের ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করলেও তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

আটককৃতরা হলেন- বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব, নোহান, শাহাদৎ, সজিব ও শুভ্র।

টপ টেনের ম্যানেজার মো. ওয়াহেদের বরাত দিয়ে ভবন মালিকের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান বলেন, সন্ধ্যায় ১৫-২০ জন যুবক সদর রোডের ওই শো-রুমে প্রবেশ করেন। এরপর প্রত্যেকে বিভিন্ন পণ্য বাছাই করেন। এ সময় বিদেশি ব্র্যান্ডের দামি ঘড়ি, প্যান্ট-শার্টসহ বিভিন্ন আইটেমের পণ্য ক্রয়ের জন্য প্যাকেট করেন।

পরে ম্যানেজারের কাছে এসে মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন তাদের পাঠিয়েছেন দাবি করে দাম পরিশোধে অস্বীকৃতি জানান। কর্মচারীরা এর প্রতিবাদ করলে তারা শো-রুম ভাংচুর করে সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্রয়কর্মীরা ৫ জনকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার কোনো কর্মী জড়িত নয়। এতটা বোকা অবশ্যই আমি নই যে, আমার কোনো কর্মীকে সেখানে পাঠালে আমার নাম বলে আসতে বলব। নিশ্চয়ই এর পেছনে বড় কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে। কেউ আমাকে সাজানো ঘটনায় ফাঁসাতে চাইছে। ওই দোকানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে ঘটনার সঙ্গে দায়ীদের চিহ্নিত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

বার্তাবাজার/ই.এইচ.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর