ধামইরহাটে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনায় হাজার হাজার গ্রাহক

ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন একটি মানুষের জীবনে কম বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে। প্রায় সব বয়সী এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের হাতে লক্ষ করা যায় মোবাইল ফোন।

বলতে গেলে মোবাইল ফোন বর্তমানে প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহার হয়। কিন্তু মোবাইল কম্পানিগুলোর নেটওয়ার্ক কাভারেজ হওয়ায়
গ্রাহকরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন যার কারণে বিভিন্ন বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হচ্ছে হাজার হাজার গ্রাহকদের। সংশ্লিষ্ট কোম্পানি গুলোকে বারবার বলার পরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তারা।

নওগাঁর সীমান্তবর্তী উপজেলা হিসেবে পরিচিত একটি উপজেলা হচ্ছে ধামইরহাট। এ উপজেলায় অবস্থিত একাধিক গ্রামগুলো বিশেষ
করে সীমান্তের কোলঘেঁষা ওই প্রান্তিক এলাকাগুলো মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় ডিজিটাল সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রায় ২০ হাজারের ও বেশি গ্রাহক।

এদিকে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শুরু করে প্রায় ১বছর ধরে দেশে চলমান করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইনটারনেট গতি কম থাকায় অনলাইন ক্লাশসহ নানান সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা।

প্রান্তিক গ্রামে বসবাসকৃত মোবাইল গ্রাহকরা জানান, মোবাইল ঘরের মধ্যে রাখলে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়না। প্রয়োজনে কোথাও ফোনে
কথা বলতে হলে আসতে হয় খোলা আকাশের নিচে। আর ইন্টারনেট বলতে গেলে পাওয়াই যায়না।

উপজেলার সদর এলাকাসহ দুই একটি ইউনিয়নে ফোর-জি সুবিধা থাকলেও এমন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক এলাকার গ্রাহকরা। ঘরে নেটওয়ার্ক না থাকায় এবং ইন্টারনেট ব্যবহার না করতে পেরে নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর উপরে বেশ চটেছেন তারা।

উপজেলার উমার ইউনিয়নের অন্তর্গত বাসুদেবপুর, চকশব্দল, উত্তর ও দক্ষিণ দূর্গাপুর, চকিলাম, খয়ের বাড়ি দাদনপুর এলাকার লোকজন ইন্টারনেট সেবাতো দূরের কথা সাধারণত মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক নিয়ে রয়েছেন চরম বিড়ম্বনায়। দ্রুত এই বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি চান
সুবিধা বঞ্চিত ওই প্রান্তিক এলাকায় বসবাসরত গ্রাহকরা।

রেজুয়ান আলম/বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর