বোনের সামনেই ভাইকে গুলি করে মারার অভিযোগ বিজিবির বিরুদ্ধে

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বনগাঁও সীমান্তে বোনের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) বিরুদ্ধে। শনিবার (৬ মার্চ) সীমান্তের ১২১৫ নাম্বার আন্তর্জাতিক পিলারের কাছে সাংবাদিক টিলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

তবে বিজিবির দাবি, আত্মরক্ষার্থে চোরাকারবারিদের ওপর গুলি করা হয়েছিল। কারও মৃত্যুর বিষয় তাদের জানা নেই।

গুলিতে নিহত ব্যক্তির নাম কামাল হোসেন। তিনি উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে।

বিজিবির প্রতি অভিযোগ করে কামাল হোসেনের ছোট বোন আমেনা জানান,আমার ভাই কোন চোরাকারবারি ছিলো না। আমার ভাই আমাকে বাঁচাতে সেখানে গিয়েছিল। আর বিজিবি আমার চোখের সামনে তাকে অন্যায়ভাবে গুলি করে মেরে ফেললো।

তিনি আরও জানান, আমি আমার পালিত গুরুকে ঘাস খাওয়ার জন্য ছেড়ে দিয়েছিলাম কিছুক্ষণ পর বিজিবি এসে আমার গরুকে আটক করে ক্যাম্পের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। এসময় সেখানে বড় ভাই কামাল হোসেন আসেন। একপর্যায়ে কামাল হোসেন গরু নিতে বাধা দিলে বিজিবি তাকে গুলি করে। আমার ভাই মাটিতে পরে গেলেও বিজিবি আমার ভাইকে ধরতে দেয়নি।

আমেনা বলেন, তারা আধা ঘণ্টা আমার ভাইকে মাটিতে ফেলে রেখেছে, পরে স্থানীয়রা সবাই গিয়ে আমার ভাইকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। তাকে দুপুর দু’টায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানাস্তর করেন। পরে সিলেটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় কামাল হোসেন।

এ বিষয়ে বিজিবির সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাকসুদুল আলম বলেন, শনিবার বিকালে বনগাঁও সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ২৫-৩০টি গরু এনেছিল স্থানীয় চোরাকারবারিরা। বিজিবি গরুগুলো আটক করা চেষ্টা করলে চোরাকারবারিদের সঙ্গে ইসলামপুর গ্রামের কিছু লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় একজন ল্যান্স নায়েক আহত হয়েছেন। তখন আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে কামাল নামের এক চোরাকারবারি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় বলে জানতে পেরেছি। সে মারা গেছে কিনা, সেটি আমাদের জানা নেই।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর