ময়লা স্তুপের ছোবলে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে আখাউড়ার কালন্দী খাল

শত বছরের ঐতিহ্য ইতিহাস বহন করা ব্রাহ্মাণবাড়িয়া আখাউড়ার কালন্দী খালটি এখন ময়লার স্তুপে আর অবৈধ দখলদারদের ছোবলে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। খালের দু-পাশে ময়লা আর দখলের মহোৎসব চললেও যেন এই সব দেখার কেউ নেই।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজানের পাহার থেকে সৃষ্টি হওয়া এই কালন্দী খালটি আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে দক্ষিণ ইউনিয়ন গাজির বাজর হয়ে আখাউড়া-আগরতলার রাস্তার পাশ বয়ে আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজার হয়ে রেলস্টেশনে পাশ দিয়ে তিতাস নদীতে মিলিত হয়েছে।

এক সময় এই কালন্দী খাল দিয়ে উজানের ঢলে বিসাল জলপ্রপাত থাকলেও, কালের বিবর্তনে এখন প্রায় মৃত ও হারিয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় পরিণত হয়ছে। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে থেকে আখাউড়া সড়ক বাজার পর্যন্ত ময়লার স্তুপে আর দখলদারদের বেদখলে খালটি প্রায় এখন একটি ছোট ড্রেনে রুপান্তরিত হয়।

এলাকার সচেতন মহল ও জনসাধারণের এই খালটি নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা বরাবরই নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

সরজমিনে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে জানতে গেলে অমরিত ঘোষ নামে একজন বার্তা বাজারকে বলেন, আমার বয়স ৬০ঊর্ধ্বে আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন এই খালটি দিয়ে অনেক বড় বড় নৌকা চলাচল করত। বিভিন্ন জায়গা থেকে এই খালটি দিয়ে মালামাল আসত। কিন্তু এখন চারপাশের ময়লা আবর্জনা ও অবৈধ দখলদারের করণে কালের পরিক্রমায় এই খালটি তার নিজস্ব রূপ হারিয়ে ফেলতেছে। তাই অতি শীঘ্রই এই খালটি পুনরুদ্ধার করতে না পারলে আখাউড়াবাসী বিরাট সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে হবে।

সড়ক বাজারের আরেক ব্যবসায়ীক দুলাল ঘোষ বার্তা বাজারকে বলেন, এই খালটিকে নিয়ে এখনই কোন পরিকল্পনা না নিলে আখাউড়ায় জলাবদ্ধতাসহ নানান সমস্যায় পরতে হবে। আমরা দেখেছি এই খাল দিয়ে মাটি বুঝায় নৌকা চলাচল করতে। প্রচুর মাছ ছিল এই খালে মানুষেরা দলে দলে এই খাল থেকে মাছ ধরতে দেখা গেছে। এখন এই খালটিকে একটা ছোট ড্রেন বলা যায়। চারপাশে ময়লা আর বেদখলে খালটি প্রশস্ত কমে এখন ছোট ময়লার ড্রেনে পরিণত হয়েছে।

এই বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূরে আলম বার্তা বাজারকে বলেন, আমরা দেখেছি কালন্দীঢ খালটি অনেক দিন যাবত অবৈধ দখল হয়ে আছে। যে কারণে আমাদের পানি নিষ্কাশন থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্ষতি ও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

তিনি বার্তা বাজারকে আরো বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত খবর রাখছি, কোথাও নতুন করে খালের উপর অবৈধ স্থাপনা হচ্ছে কিনা। এমন কিছু আমাদের নজরে আসলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে জেল জরিমানা করা হচ্ছে। এই খাল নিয়ে আমরা ব্যাপক পরিকল্পনা নিচ্ছি, খনন করে এর দু পাশে ওয়ালক ওয়ে নির্মান করে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আমরা আশা করি যখন এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে তখন এইসব অবৈধ স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হবে।

হাসান মাহমুদ/বার্তাবাজার/হৃ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর