এক কোটি মানুষকে নিয়ে সরকারের নতুন পরিকল্পনা

দেশের প্রায় এক কোটি মানুষকে স্থায়ীভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উন্নত দেশের রোল মডেল অনুসরণ করে মানুষের স্থায়ী সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবনমান উন্নয়নে সরকারের ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে ১৫০টি কর্মসূচী।

এইসব কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগীরা খাদ্য সহায়তা, নগদ ভাতা, চিকিৎসা সহায়তা, শিক্ষা সরঞ্জামাদি, থাকার জন্য পাকা ঘর, গভীর নলকূপ, স্যানিটেশন পাবেন। গ্রামীণ প্রকল্প থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে লাখ লাখ মানুষের। এছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ এবং দারিদ্র্র্য নির্মূলে আরও কয়েক কোটি মানুষকে অস্থায়ীভাবে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আগামী বাজেটে শুধু সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। চলতি বাজেটে এই খাতের বরাদ্দ ৯৫ হাজার কোটি টাকা।

জানা গেছে, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের উত্তরণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করতে হলে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বেগবান করার তাগিদ রয়েছে। কাউকেই আর পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। অর্থনীতির মূল ধারায় সাধারণ মানুষকেও নিয়ে আসার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণের টার্গেট রয়েছে সরকারের সামনে।

এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বেগবান করতে উন্নত দেশের রোল মডেল অনুসরণ করবে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ভাল অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। মধ্যম আয়ের দেশে যেতে গত এক দশক ধরে দারিদ্র্য বিমোচনে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে। কমেছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। আগামী বাজেটেও ধারাবাহিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় কর্মসূচী ও বরাদ্দ বাড়ানো হবে। গ্রামীণ কর্মসংস্থানে নজর বাড়াবে সরকার।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছে। শিল্প কারখানায় উৎপাদন ও ব্যবসা বাণিজ্য কমে যাওয়ায় দারিদ্র্য নিরাপত্তায় আমাদের অর্জন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চলতি অর্থবছরে দরিদ্র কর্মজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবে ৫০ লাখ জনগণকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি খাদ্য সহায়তাসহ আরও কিছু পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, চলতি বাজেটের ন্যায় আগামী অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতা বাড়ানো হবে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেল। এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের। এটা ধরে রাখতে হলে দারিদ্র্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে।

জানা গেছে, কোভিড-১৯ সঙ্কট মাথায় রেখে চলতি অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়। যা মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক ০১ শতাংশ। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের মূল বাজেটে এ খাতে ৭৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা করা হয়।

দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রামীণ কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা করার কথা ভাবছে অর্থ বিভাগ। করোনা মহামারীর কারণে সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সকল দরিদ্র প্রবীণ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে করে ৫ লাখ উপকারভোগী যোগ হবে এবং এ খাতে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া হয়।

মহামারীর কারণে সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সকল বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে করে সাড়ে ৩ লাখ উপকারভোগী যোগ হয়েছে। বর্তমানে ১৮ লাখ অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা সুবিধার আওতায় রয়েছেন। দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা, কর্মজীবী মায়েদের ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, ভিজিডি কার্যক্রম, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ, ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার সিরোসিস রোগীদের সহায়তা, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচী কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

মহামারীর আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করা এবং গ্রামে বসবাসরত দরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় মানুষের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র ২০১৫ এর আলোকে করোনাভাইরাস সঙ্কট থেকে দরিদ্র, অসহায় মানুষের অবস্থা উত্তরণের জন্য বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচীর সংখ্যা আগামী বাজেটে বাড়ানো হবে।

জানা গেছে, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় থাকা কর্মসূচীগুলো ২৫টি মন্ত্রণালয়েরর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হলেও লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে কাজ করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বেশিরভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এ প্রসঙ্গে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠান শেষে বলেন, দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে মহামারী সঙ্কট দূরীকরণে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে সহায়তা দেয়া হয়। এতে করে সাধারণ মানুষ কাজকর্ম ফিরে পেয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর বাজেটের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক ও সদয়। ফলে আগামী বছরেও এ খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।

জানা গেছে, এলডিসি উত্তরণ, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণে দেশ থেকে চরম বা অতিদারিদ্র্য দূর করতে হবে। এ কারণে প্রতিবছর বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে এই বরাদ্দের পরিমাণ দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট দাতাদেশগুলো। দ্রুত দারিদ্র্য বিমোচন ও আয় বৈষম্য কমিয়ে আনতে ইতোমধ্যে বাজেটে কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়া কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দশ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ দ্রুত শেষ করতে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। সরকারের নেয়া এসব কর্মসূচী দেখে সন্তুষ্ট দাতাসংস্থাগুলো। এ প্রসঙ্গে বিআইডিএস-এর সাবেক ডিজি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এম কে মুজেরী জনকণ্ঠকে বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর মাধ্যমে অনেকে উপকৃত হচ্ছেন। কিন্তু এ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের কিছু অপব্যহারও হচ্ছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া যাদের পাওয়া দরকার তাদের অনেকে এই সুবিধা পাচ্ছেন না। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে স্বচ্ছতা ও উপকারভোগী নির্বাচন ঠিক করে বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশ থেকে দারিদ্র্য নির্মূল করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এবার পৌনে ৯ লাখ ভূমিহীন পাচ্ছে বসতঘর ও ৭৪ লাখ গরিব শিক্ষার্থীকে দেয়া হচ্ছে উপবৃত্তি। বিপুল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে নগদ অর্থ সুবিধা দেয়া হচ্ছে ৩৩ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা, খাদ্য সহায়তা যাচ্ছে ১৭ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা, ভূমিহীনদের বসতঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২২ হাজার ১৪০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাতে ব্যয় হচ্ছে ৪৩ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এই মোট ব্যয় চলতি বাজেটের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক বলেছে বাংলাদেশের সুরক্ষা নেট কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের সহায়তার মাধ্যমে দারিদ্র্য ও দুর্বলতা হ্রাসে অবদান রাখছে।

জানা গেছে, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে অতি দারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। তবে প্রবৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে অতি দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত নামিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়া ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০১৭ সালে হ্রাস পেয়ে তা ২২ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

দারিদ্র্য হ্রাসে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্জিত গতিশীলতা ও হতদরিদ্রদের জন্য টেকসই নিরাপত্তাবেষ্টনীর মাধ্যমে জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা, অতিদরিদ্র্য ও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও টেস্ট রিলিফ, জিআর ছাড়াও সরকার উদ্ভাবিত একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ, গৃহায়ন, আদর্শ গ্রাম, গুচ্ছগ্রাম, ঘরে ফেরা কর্মসূচীর পাশাপাশি ওএমএস, ফেয়ার প্রাইস কার্ড, ভিজিডি, প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও দুস্থ মহিলা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, চর জীবিকায়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন হচ্ছে।

করোনার সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়, দারিদ্র্য ও চরম দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্টভাবে এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাস্তবায়িত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীসমূহ আমাদের অগ্রাধিকারভুক্ত কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম।

কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতাভুক্ত সুবিধাসমূহের ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছে। যেমন, সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১১২টি উপজেলায় সকল দরিদ্রপ্রবণ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনার লক্ষ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪৪ লাখ থেকে ৪৯ লাখে উন্নীত করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই খাতের জন্য বাজেটে ২,৯৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সময়ে ১ম কিস্তির বরাদ্দ ৭৩৫ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে।

একইভাবে সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১১২টি উপজেলায় সকল বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তাকে ভাতার আওতায় আনার লক্ষ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ১৭ লাখ থেকে ২০ লাখ ৫০ জনে উন্নীত করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই খাতের জন্য বাজেটে ১,২৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সময়ে ১ম কিস্তির বরাদ্দ ৩০৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে।

দেশের সকল প্রতিবন্ধীকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৫ হাজার থেকে ১৮ লাখে উন্নীত করে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই খাতে ১,৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সময়ে ১ম কিস্তির বরাদ্দ ৪০৫ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম (আবর্তক ক্ষুদ্রঋণ) খাতে ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সূত্র: জনকণ্ঠ।

বার্তাবাজার/ই.এইচ.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর