চরফ্যাসনে ২১ মামলার পলাতক আসামী মুরাদের ২০ বছরের জেল

ভোলার চরফ্যাসনে ২১ মামলার পলাতক আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী মুরাদের আরোও একটি চাঁদাবাজী মামলায় বিভিন্ন ধারায় ২০ বছর এক মাসের জেল দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মুল আসামী মুরাদ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার সহযোগী অপর তিন আসামী আজিজ, ইউসুব, ও ফুয়াদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ইং সালে দুলারহাট থানার হাজিরহাটের চৌমুহনী এলাকায় খেয়া পারাপারের ইজারা নিয়ে স্থানীয় ইজারাদার আবদুল মতিন মেম্বারের নিকট মুরাদ হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। তার দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে তাকে প্রান নাশের হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালে আবদুল মতিন মেম্বার বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় ৩৪১, ৩২৩, ৩৪১, ৩৮৫, ৩৭৯ ও ৫০৬ ধারায় ১৩৭/১৩ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানীর পর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সেশন-২৫৭/১৮ চাঁদাবাজী মামলার অভিযোগ সাক্ষ্য প্রমানে চাঁদা দাবি সন্দেহতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ বিচারক মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন।

মুরাদ হোসেন দুলারহাট থানার আহম্মদপুর ইউনিয়নের আবুল বাসার চাপরাশীর ছেলে। বিজ্ঞ বিচারকের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী আবদুল মতিন মেম্বারসহ এলকাবাসী।

রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ মোজাম্মেল হক বার্তা বাজারকে জানান, আলোচিত ২১ মামলার পলাতক আসামী মুরাদ হোসেন একজন দূস্কৃতিকারী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজী, ডাকাতি, ধর্ষণ প্রতারনাসহ মোট ২১টি মামলা চলমান রয়েছে।

গত বছরের ১৬ নভেম্বর অপর একটি চাঁদাবাজী মামলায় চরফ্যাসনের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন ধারায় ২০ বছর চার মাসের সাজা প্রদান করেছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকায় সে পলাতক রয়েছে। এজন্য তার অনুপস্থিতেই এসব মামলার বিচার কার্য পরিচলনা করা হচ্ছে।

এদিকে সন্ত্রাসী মুরাদ হোসেনকে ২০ বছরের জেল প্রদান করায় এলাকায় স্বস্থি ফিরে এসেছে।

আরিফ হোসেন/বার্তাবাজার/হৃ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর