সমাবেশ থেকে ফেরার পথে যুবদলের ২০ নেতাকর্মী আটক

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির যুব সংগঠন যুবদলের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছেন বলে দাবি করছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে নয়পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এই অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, আজ প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভাকে বানচাল করতে শুরু থেকেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল। তারা সভাকে কেন্দ্র করে ক্ষুধার্ত হায়েনার মতো চারিদিকে ওঁত পেতে ছিল। সভা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি রফিকুল আলম মজনুকে আটক করে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব, ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আবু খালেক টিপু, বন্দর থানা যুবদল নেতা মাহবুব, রুপনগর থানা যুবদলের সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ ফাহিম, সূত্রাপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সৌরভ রাসেল, কামরাঙ্গীর চর থানা যুবদলের সদস্য দিলগণি, কাফরুল থানা যুবদল নেতা মোঃ ওয়াহিদ, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম রুবেল, যুবদল নেতা আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ সাগর, ঢাকা জেলা ধামরাই থানা যুবদল নেতা মোঃ শিপলু, মোশাররফ হোসেন ও কেরানীগঞ্জ থানা যুবদল নেতা মোঃ রুবেলসহ প্রায় ২০ জনের অধিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশের প্রতি অভিযোগ করে তিনি বলেন, সভাস্থলে উপস্থিত বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথেও পুলিশ অসদাচরণ করে। আমি বিএনপি’র পক্ষ থেকে অবিলম্বে রফিকুল আলম মজনুসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রের পক্ষে স্বাস্থ্যকর হয়নি। হত্যার আসামীর দন্ড মওকুফ হয়, দ্রুত জামিন হয়, লুটপাটকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারীরা সহজেই দেশ ছাড়তে পারে, অথচ মানুষ এসবের সমালোচনা করলেই তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন। নিপীড়ন আর হুংকারের স্বরে এখন দেশশাসন চলছে।

বার্তাবাজার/এসজে