১১ এপ্রিল যশোর পৌরসভা নির্বাচন

আগামী ১১ এপ্রিল যশোর পৌরসভার নির্বাচন। বুধবার (৩ মার্চ) বুধবার রাতে ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

৬ষ্ঠ ধাপে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যদিয়ে যশোর পৌর নির্বাচন নিয়ে সকল জল্পনা কল্পনার অবশেষে অবসান ঘটলো।

বুধবার রাতে কমিশনের ৭৭ তম সভায় যশোর পৌরসভার স্থগিত হয়ে থাকা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। আবার এই একইদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যশোরের নওয়াপাড়া পৌরসভায়ও। ষষ্ঠ ধাপে অন্যান্য যেসব পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে সেগুলো হচ্ছে, ঝালকাঠি, লাঙ্গলকোট, ভাঙ্গা, চকরিয়া, সোনাগজী, কবিরহাট, মহেশখালী, সেতাবগঞ্জ ও দেবীগঞ্জ।

এদিকে যশোর পৌরসভা নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ২০ জানুয়ারি। এরপর ২১ জানুয়ারি রিটার্নিং অফিসার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। এর পরে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট করেন তিন ব্যক্তি।

নির্বাচন নিয়ে রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নির্বাচন না করতে তিন মাসের জন্য যশোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত আদেশ দেন।

এরপর ওই বেঞ্চের সরকারি কৌঁসুলি তখন জানিয়েছিলেন সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবি নিয়ে রিট হয় হাইকোর্টে। ওই রিটের শুনানি শেষে যশোর পৌরসভার নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন উচ্চ আদালত।এদিকে যশোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও ওই চেম্বারের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান তা আবার মুলতবি করেন।

সর্বশেষ, আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের স্থগিত করার আদেশ দেন। একইসাথে আবেদনটির শুনানির জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন তিনি। ফলে, ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করতে কোনো বাধা ছিল না। তবে, আপিল বিভাগের ওই আদেশের কপি নির্বাচন কমিশনে পৌঁছানোর আগেই ৯ ফেব্রুয়ারির স্থগিতাদেশের কপি পৌঁছে। যে কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে যশোরের রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবিরের কাছে নির্বাচন স্থগিত আদেশ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাতিল করে। কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যার পর নির্বাচন কমিশন থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে চিঠি আসে নির্বাচন স্থগিত করার জন্য।

সর্বশেষ, গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ চেম্বার বিচারপতির স্থগিত আদেশ বাতিলের বিষয়টি বহাল রাখেন। এর মাধ্যমে যশোর পৌরসভার ভোটগ্রহণে সকল বাধা দূর হয়।

মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে প্রার্থীরা পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায় ভোটগ্রহণের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। যা সম্প্রতি যশোর সার্কিট হাউজে ব্রিফিংকালে উল্লেখ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। সর্বশেষ, প্রার্থীদের প্রচারণার সময় দিয়ে আগামী ১১ এপ্রিল যশোর পৌরসভার নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করল নির্বাচন কমিশন।

এ্যান্টনি দাস(অপু)/বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর