বিএনপি’র দলাদলির রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যেতো: তথ্যমন্ত্রী

‘দেশ অনেক এগিয়ে গেছে এবং বিএনপি’র দলাদলি-নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতো’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

বুধবার (৩মার্চ) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে সংগঠনের প্রয়াত সহ-সভাপতি বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে স্মরণ সভায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি একথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল সাহেব সম্প্রতি বলেছেন, ৫০ বছরে আমরা শুধু দলাদলি করেছি, দেশ আগায়নি। আমি তাকে বলবো, ‘আপনি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ, যদিওবা অহরহ বিএনপির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রচণ্ড অসত্য কথা বলতে হয়, কিন্তু আপনি একজন মার্জিত মানুষও বটে। আজকে যে দেশ এতদূর এগিয়ে গেছে, ভারত-পাকিস্তানসহ সারাবিশ্ব সেটি অনুধাবণ করেছে আর আপনি সেটি অনুধাবন করতে পারলেন না! জাতিসংঘ সার্টিফিকেট দিয়েছে যে দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ হয়েছে, ২০০৮ সালের ৬০০ ডলার মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৯ ডলারে উন্নীত, যা ভারত এবং পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় থেকে অনেক বেশি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার যা পাকিস্তানের তিনগুণ, এই তথ্যগুলো আপনাদের কাছে নেই দেখে আমি খুব অবাক হচ্ছি।’

‘আসলে বিষয়টা হচ্ছে, বিএনপি যদি দলাদলি আর নেতিবাচক রাজনীতি না করতো, বাংলাদেশ যে আজকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে, তার চেয়েও অনেক বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারতো’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এই নেতিবাচক রাজনীতি যদি না থাকতো, জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়া, স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রশ্রয় দেয়া, তাদের সাথে বসে রাজনীতি করা না হতো, তাহলে দেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের সেই কথাটি বলা উচিত ছিল। হ্যাঁ আপনারা শুধু দলাদলি করেছেন তা নয়, আপনারা সবসময় প্রচণ্ডভাবে নেতিবাচক রাজনীতি করেছেন। এই নেতিবাচক রাজনীতি আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতির ক্ষেত্রে চরম অন্তরায়।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের এ স্মরণসভার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় জোটের সহ-সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, সংগঠনের সদস্য অভিনেত্রী তারিন, শাহনুর, কন্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, অভিনেতা শাকিল খান, এটিএম শামসুজ্জামানের কন্যা কোয়েল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, সাংবাদিক সুজন হালদার, মানিক লাল ঘোষ, হুমায়ুন কবির মিজি, সমিরন রায়, শাহাদাত হোসেন টয়েলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর