মুশতাকের মৃত্যুতে আইন বাতিল করা হবে কেন: তথ্যমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও এই আইন বাতিলের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একজনের মৃত্যুর কারণে ওই আইন বাতিল করতে হবে? এটা তো আইনের দোষ না।

বুধবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে খ্যাতিমান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের স্মরণে আয়োজিত এক শোক সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কারাগারে মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের কথা বলা হচ্ছে। এ নিয়ে পানি ঘোলা করে লাভ হবে না। তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্তের কমিটির রিপোর্টে সব বেরিয়ে আসবে। তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ এই আইনে মুশতাক কারাগারে ছিলেন। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে। সেই সূত্র ধরে বলা হচ্ছে, এই আইন বাতিল করতে হবে। অন্য আইনে যারা কারাগারে যায়, সেই আইনে যদি কারাগারে তারও মৃত্যু হয়, তাহলে কি সে আইনগুলোও বাতিল করতে হবে? সে প্রশ্নটাও এসে যায়।

মন্ত্রী আরও বলেন, আইন তো সবার জন্য। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সমগ্র মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। সাংবাদিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, গৃহিণীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, কৃষকের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। কারও চরিত্র হনন হলে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন। অবশ্য এই আইনের অপপ্রয়োগ না হয়, সেজন্য আমরা সর্তক আছি। অপপ্রয়োগ হওয়া কাম্য নয়।

লেখক মুশতাকের মৃত্যুকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রেস ক্লাবের সামনে নানা ধরনের আয়োজন করা হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে ৪ জাতীয় নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর বিপদগামী সদস্যরা সেখানে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল। তখন সেনাপ্রধান ছিল জিয়াউর রহমান। খন্দকার মোশতাকের নির্দেশে জিয়াউর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়েছিল। আজকে সেই কথা কেউ বলে না।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর