বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন গোলাম রাব্বানী

সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। এই আইনে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে মৃত্যুবরণ করা লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর আলোচনা চলে আসে রাজপথে। শুরু হয় বিক্ষোভ।

দেশের বিশিষ্টজনেরা এই আইন নিয়ে তীব্র সমালোচনা করার মধ্যেই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক আলোচিত সাধারণ সম্পাদকের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস সবার নজর কেড়েছে। সেখানে দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সাবেক এই শীর্ষ ছাত্র নেতাকে।

বিচারের বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন ‘বিচার বিভাগ কি আদৌ স্বাধীন?’। তিনি জেল হাজতে যেকোনো মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

সোমবার (১ মার্চ) বিকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে তিনি লিখেন, ‘দুর্নীতিবাজ, ধর্ষক, ডাকাত, খুনী সবার জামিন হয়, অনেকক্ষেত্রে আশ্চর্যজনকভাবে ভয়াবহ অপরাধীর আগাম জামিন হয়, আর লেখা কিংবা আঁকার জন্য মানহানি বা কোন অনুভূতি আঘাতের মামলায় বারবার আর্জি জানিয়েও জামিন মেলেনা! হায় সেলুকাস!!’

রাব্বানী লিখেন, ‘বিচার বিভাগ কি আদৌ স্বাধীন? মনমতো না হলেই নানাবিধ উপায়ে উপর্যুপরি প্রেশার! বিচারক ও তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, বদলী, প্রমোশন, বোনাস, পেনশন সবকিছুই যদি আইন মন্ত্রণালয় অর্থাৎ ‘এক্সিকিউটিভ’ অর্গানের হাতে থাকে তাহলে ‘জুডিশিয়ারী’ কিভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করবে??’

তিনি আরও লিখেন, ‘আর হ্যাঁ, কোন আইনে যখন দমন-পীড়নে বা কোন গোষ্ঠীর হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার হওয়ার নূন্যতম সুযোগ থাকে, তখনই সেটা কালো আইনের তকমা পেয়ে যায়! ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিশেষ কিছু ধারা সংশোধন ও পরিমার্জন অত্যন্ত জরুরি।’

জেল হাজতে যেকোনো মৃত্যুর তদন্ত দাবি করে রাব্বানী লিখেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন সংস্থা বা অর্গান স্বীয় কর্মকান্ডের জন্য দায়মুক্ত হতে পারে না! জেল হাজতে যেকোনো মৃত্যুর ঘটনা অবশ্যই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে রিপোর্ট প্রকাশ করা উচিত।’

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর