৪০ বছর ধরে কয়েদি শূণ্য কুষ্টিয়ার উপকারাগার

প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পেরিয়েছে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার উপকারাগারের বয়স। তবে আজও দেখা মেলেনি কোনো কয়েদি। তাহলে কেনই বা এই কারাগার।

এদিকে কয়েদি না থাকলে কী হবে; কারাগারের কারারক্ষীর কক্ষগুলো দখল করে রেখেছে ছাগল আর পুরুষ কয়েদির জায়গায় গরু।

তবে এই উপকারাগারটি কিশোর অপরাধ দমনে কিশোর শোধানাগার করার কথা থাকলেও বাস্তবে এর ছিটেফোটাও চোখে পড়েনি স্থানীয়দের। এদিকে সমাজসেবা অফিস বলছে, জটিলতায় বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, আশির দশকে দেশের ১৭ জেলায় ২৩টি উপকারাগার নির্মাণ করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ। এর মধ্যে ছিল কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার অরক্ষিত এই উপকারাগারটি।

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই উপকারাগারটিতে রয়েছে একটি প্রবেশপথ, দুটি কয়েদি রাখার হলরুম, দুটি সাক্ষাৎকার কক্ষ, একটি স্টোর রুম, দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি অফিস রুম আর তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি কোয়ার্টার। রয়েছে বেশ কয়েকটি টয়লেটও।

প্রায় ১২ দশমিক ২ একর জমির উপর আশির দশকে অত্যন্ত সুরম্য প্রাচীর বেষ্টিতে নির্মাণ করা হয় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় উপকারাগারটি। দীর্ঘদিন কারাগারটি অরক্ষিত অবস্থায় থাকলেও ২০১৮ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে বর্তমানে কারাগারটি নিয়ন্ত্রণ চলে যায় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীনে। সেখানে সমাজসেবা কার্যালয়ের একজন স্টাফ সপরিবারে বসবাস করেন। তবে স্থানীয়রা চান কারাগারটির যথাযথ ব্যবহার হোক।

এলাকাবাসী বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেয়াল থেকে খসে পড়ছে ইট-সিমেন্ট। দরজা জানালার কাঠগুলো অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। কারাগারের বাইরে অফিস স্টাফদের জন্য নির্মিত তিন কক্ষবিশিষ্ট কোয়ার্টারটি অনেক আগেই দখল করেছে একটি চক্র।

কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রোকসানা পারভীন বলেন, উপকারাগারটি নানা জটিলতায় আজো চালু হয়নি, তবে প্রতীকি মূল্যে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেল সুপার তায়েফ উদ্দিন মিয়া বলেন, কিশোর অপরাধ দমনে এই উপকারাগারটি কিশোর শোধনাগার বা উন্নয়ন কেন্দ্রে রূপান্তিত করে সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীনে দেয়া হয়েছে।

তামীম আদনান/বার্তাবাজার/হৃ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর