মাদকের আখড়া স্কুল: সংস্কারের অর্থ আত্মসাৎ করলো প্রধান শিক্ষক!

বগুড়ার শেরপুরের শেরুয়া পাঠানটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আফাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্লিপের টাকা, প্রাক প্রাথমিক, রুটিন, মেরামত ও স্কুল সংস্কারের বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাৎ এবং শহীদ মিনার নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার, সরকারি দিবস উপলক্ষ্যে সজ্জায়িত ও কার্যক্রম না থাকার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও একই শহীদ মিনার ২ বার নির্মান দেখিয়ে টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানায়ায়, শেরপুরের শেরুয়া পাঠানটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের স্কুল সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ ও স্লিপের ৫০ হাজার, রুটিন ও মেরামত ৪০ হাজার এবং প্রাক-প্রাথমিক ১০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পায়। সেই টাকা দিয়ে স্কুলের বাউন্ডারি, শহীদ মিনার স্থাপন, স্কুলের সজ্জায়িত না করে সব টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরের স্লিপের ৫০ হাজার টাকা আবারও শহীদ মিনার স্থাপন, শিক্ষকদের নামের তালিকা ও বঙ্গবন্ধু বুক কর্নার, একটি দেওয়াল ঘরি ক্রয় দেখানো হয়েছে। একই শহীদ মিনার স্থাপন করার খরচ দুই বার দেখানো হয়েছে। এবং প্রাক-প্রাথমিকের ১০ হাজার টাকায় শুধু প্রাক-প্রাথমিকের ঘরের ২ফিট করে চার দেওয়ালে কালো রং, ২টি বাঁশের তীর ও দুটি জানালার গ্রীলে ১০ হাজার টাকার খরচ দেখানো হয়েছে।

এলাকাবাসীরা বলেন, এই কাজগুলো করতে খরচ হবে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। বাঁকি টাকা আত্মসাত করেছে প্রধান শিক্ষক। সরেজমিনে গিয়ে অনিয়মের কথা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আফাজ উদ্দিন বিভিন্ন তালবাহানা করে রুম থেকে বের হয়ে যান। এবং সহকারি শিক্ষা অফিসার ওবাইদুর রহমানকে মোবাইলে বিষয়টি জানায়। পরে তার বুদ্ধিতে প্রধান শিক্ষক পরে আসতে বলে। এবং ঐদিন রাতের অন্ধকারে শেরশাহ মার্কেটের উপরে তারা একত্রিত হয়ে খরচের নতুন করে ভাউচার তৈরী করেন। এলাকাসী জানান, এই স্কুলটির মাঝে মাদককারবারীর আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে মাদক সেবীরা মাদকের আড্ডাও দেয় অথচ দেখার কেউ নেই।

এ বিষয়ে শেরুয়া পাঠানটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফাজ উদ্দিন কোন বক্তব্য দিতে পারবেনা বলে মত প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপরে সহকারী শিক্ষা অফিসার ওবাইদুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক দুর্নীতি করলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিনা পারভিন বলেন, করোনা কালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় কোন বিষয়টি পরিপূর্ন দেখা হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, যে কেউ দুর্নীতি করে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাশেদুল হক/বার্তাবাজার/পি