হারাগাছে নৌকাকে ডুবালো বিদ্রোহী

পঞ্চম ধাপে দেশের ২৯টি পৌরসভা নির্বাচনের অংশ হিসেবে রংপুরের হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (নারকেল গাছ) ১৭২৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন এরশাদুল হক। তাঁর নিকট তম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী (নৌকা) হাকিবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৭১৭৩ ভোট।

এছাড়াও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী (ধানের শীষ) মোনায়েম হোসেন ফারুক পেয়েছেন ৪৯২১ ভোট, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী (হাতপাখা) জাহিদ হাছান পেয়েছেন ২২০৫ ভোট।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভায় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পরে ভোট গণনা শেষে হারাগাছ পৌরভবনের হল রুমে রংপুর জেলা নির্বাচন কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসার ফরাদ হোসেন প্রার্থীদের প্রাপ্ত ফলাফল ঘোষণা করেন।

এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৩ সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের ফল ঘোষনা করা হয়।

এবারে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ২০টি কেন্দ্রে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেন ভোটাররা। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিলেন ৪৯ হাজার ১৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ২৫ হাজার ৩২৪ এবং পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৬৯৩ জন। এ নির্বাচনে ৪ মেয়র প্রার্থী ছাড়াও কাউন্সিলর পদে ৪৮ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গত পাঁচবছরে হারাগাছ পৌরবাসীর মনের আশা পূরণ না করতে পারায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভোটাররা।

নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির বাড়তি সদস্য মাঠে থাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিলো। এছাড়া সারাদিন মাঠে ছিলো মোবাইল কোর্টের বিশেষ টিম।

উলেক্ষ্য, ২০১৬ সালের পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মোনায়েম হোসেন ফারুক এবং আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ছিলেন হাকিবুর রহমান। গতবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ১২ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। আর বিএনপির মোনায়েম হোসেন ফারুক পেয়েছিলেন ১১ হাজার ৮৪ ভোট।

রকি আহমেদ/বার্তাবাজার/হৃ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর