শখের মোটরসাইকেল কেনা হলো না মুজাক্কিরের

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক মুজাক্কিরের শখ ছিল একটা মোটরসাইকেলের। সাংবাদিকতার নেশায় পেয়ে বসায় দ্রুত সংবাদ সংগ্রহ করতে একটি মোটরসাইকেল প্রয়োজন ছিল তার। এজন্য পরিবারের কাছে ধরেছিলেন বায়নাও। কিন্তু পূরণ হলো না মুজাক্কিরের সেই ইচ্ছা। এর আগেই ঘাতকের গুলিতে প্রাণ গেল তার।

এ বিষয়ে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মুজাক্কিরের ভাই ফখরুদ্দিন মুফাচ্ছির জানান, সংবাদ সংগ্রহ করার প্রবল ইচ্ছা ছিল মুজাক্কিরের। গত ক’দিন আগে শখের একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনে। তবে তার শেষ ইচ্ছা ছিল একটি মোটরসাইকেল কেনার।

তিনি আরও জানান, আমরা দুই ভাই তাকে বাইক কিনে দিতে চাইলেও সড়ক দুর্ঘটনার ভয়ে সম্মতি দেননি আমাদের বাবা- মা। তবে মুজাক্কিরের প্রবল ইচ্ছায় এই মাসেই একটি বাইক কিনে দেওয়ার কথা ছিল।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমর্থনে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে একটি মিছিল বের করা হয়। একই সময় ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরাও একটি মিছিল বের করে।

মিছিল দুটি বাজার প্রদক্ষিণ করার সময় মুখোমুখি হয়, এসময় উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে প্রায় ২০ নেতাকর্মী আহত হন। এসময় আহত হন বার্তা বাজারের নোয়াখালীর নিজস্ব প্রতিবেদক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। আহতদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। গুরুতর আহত মুজাক্কিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মুজাক্কির মারা যান।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর