নবজাতকের মাথা টেনে বিচ্ছিন্ন করলেন হাসপাতালের আয়া!

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সন্তান প্রসবের সময় নবজাতকের পা ধরে টেনে মাথা বাদে ছিড়ে এনেছেন এক মোমেনা নামে এক আয়া। হাসপাতালে চিকিৎসক বা নার্সে অনুপস্থিত থাকায় তিনি নিজেই সন্তান প্রসব করাতে যান। এসময় শিশুর মাথা থেকে যায় মায়ের গর্ভে।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে আন্না (২৫) নামে এক গৃহবধূর সন্তান প্রসবের সময় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

ওই প্রসুতির স্বজনরা বার্তা বাজারকে অভিযোগ করে বলেন, সন্তান প্রসবের সময় সেখানে দায়িত্বরত সেবিকা ও চিকিৎসক কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনার পর ওই আয়া ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে যান।

তবে হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলছে, গর্ভের নবজাতক মৃত অবস্থায় ছিলো।

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার গাজীপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর স্ত্রী আন্না বেগমকে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে প্রসবকালিন ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শনিবার সকালে ওয়ার্ড ডা. তানজিলা আখতার একবার রোগীকে দেখে আল্ট্রাসনো পরিক্ষা করতে বলেন। এরপর আল্ট্রাসনো রিপোর্টে ২০ সপ্তাহের বাচ্চার উপস্থিতি মেলে। তার ওজন ছিলো ৩৩৯ গ্রাম। চিকিৎসকের পরামর্শে জরায়ুর মুখ খোলার ওষুধ দেয়া হয়। যাতে করে মৃত বাচ্চাটি নরমালে প্রসব হয়।

শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ বেরিয়ে আসে অনাগত সন্তানটির পা। এ সময় অনেক ডাকাডাকি করেও পাওয়া যায়নি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক এবং নার্সদের। পরে ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত আয়া মোমেনা রোগী আন্নাকে ওটিতে নিয়ে যান। চিকিৎসক সেবিকার অনুপস্থিতিতে আয়া মোমেনা নবজাতকের দুই পা ধরে টানাটানি করার সময় গলা থেকে ছিড়ে বাকি শরীর চলে আসে। এবং মাথা গৃহবধূর পেটের মধ্যে থেকে যায়।

এরপর রোগীকে ফেলে ভয়ে তিনি পালিয়ে যান। রোগীর চিৎকারে স্বজনরা গিয়ে এই অবস্থা দেখে চেচামেচি শুরু করেন। তখন সেবিকারা গিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য জানান। আয়ার কান্ডে বাক শক্তি হারিয়ে ফেলেন আন্না ও তার পরিবারের লোকজন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহমেদ বার্তা বাজারকে জানান, আয়ার বাড়াবাড়িতে এমনটা হয়েছে। চিকিৎসক সেবিকার অনুপস্থিতিতে তিনি এই কাজ করতে পারেন না।

তিনি বার্তা বাজারকে আরো জানান, গৃহবধূর পেটে নবজাতকটি আগেই মারা গিয়েছিলো। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷

এ্যান্টনি দাস/বার্তাবাজার/হৃ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর