টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন সঠিক ও সময়োপযোগী পরিসংখ্যান: কৃষিমন্ত্রী

সঠিক ও প্রকৃত তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান প্রস্তুতের জন্য নিজস্ব দেশীয় পদ্ধতি (মেথড) উদ্ভাবনের জন্য পরিসংখ্যানবিদ ও বিবিএসের কর্মকর্তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। একই সাথে, বাস্তবতার আলোকে সংগৃহীত তথ্যের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের জন্যও আহ্বান জানান তিনি। 

মন্ত্রী শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন সঠিক ও সময়োপযোগী পরিসংখ্যান। জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নে যে কোনো ধরনের ইতিবাচক কৌশল গ্রহণে সময়োপযোগী ও গুণগত মানসম্পন্ন পরিসংখ্যানই কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারে। কিন্তু বিবিএসের জন্য সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা অনেক কঠিন। নির্ভরযোগ্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায় সে উপায় পরিসংখ্যানবিদ ও বিবিএসের কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে হবে। ইউরোপ, আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্বে যে পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করে, তা আমাদের দেশে কতটুকু কার্যকর তা খতিয়ে দেখা দরকার।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী, জনগণের শিক্ষা, সামাজিক ও মানসিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে কীভাবে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা যায়- সে রকম নিজস্ব পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে। একই সাথে, বাস্তবতার আলোকে সংগৃহীত তথ্যের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে দেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ পালিত হয়েছে। পরিসংখ্যানের গুরুত্বকে সবার কাছে তুলে ধরতেই বিবিএসের এ আয়োজন। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান, টেকসই উন্নয়নের উপাদান (Reliable Statistics, Part of Sustainable Development)’। এখন থেকে প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’।

মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষিখাতে সঠিক তথ্য খুবই দরকার। বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বছরে কতটুকু উৎপাদিত হচ্ছে, চাহিদা কতটুকু বা উৎপাদন বছরে কতটুকু বাড়ছে- এসবের প্রকৃত ও সঠিক তথ্য দরকার। সেটি করতে পারলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন অনেক ভাল ও সহজতর হবে। অন্যদিকে, দেশে দারিদ্র্যের হারসহ অন্যান্য বিষয় ও উন্নয়নের গতি প্রবৃদ্ধি নিয়েও কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে আলু ও ধান-চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী আরও বলেন, আমার মনে হয়, দেশে এগুলোর আবাদ, উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতার (একর প্রতি) যে পরিসংখ্যান রয়েছে তা সঠিক নয়। পরিসংখ্যানের গড়মিলের কারণেই আলুর ও ধান-চালের দাম বেশি ছিল। কাজেই, সীমাবদ্ধতার মধ্যেও প্রকৃত তথ্য সংগ্রহের উপায় পরিসংখ্যানবিদদের বের করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতির সভাপতি ড. পিকে মোঃ মতিউর রহমান ও গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি টোমো হোযুমি উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

বার্তাবাজার/হৃ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর