২৪ বছরেও পরিবর্তন হয়নি মাদারীপুরের হরিজন পল্লীর

মাদারীপুর পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ড পুরান বাজারের মাঝে বসবাস করা অসহায় ৩শত হরিজন পল্লীর মানুষের কোন পরিবর্তন হয়নি। থাকার কষ্ট, পানির কষ্ট, রান্নার কষ্ট, পানি নিস্কাশনের নেই কোন সু-ব্যবস্থা।

নেতা নেত্রীরা বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার কথা জানালেও গত ২৪ বছরেও কোন উন্নয়ন করা হয়নি তাদের জীবন যাত্রার মান। তবে তাদের অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ও বর্তমান পৌর মেয়র প্রার্থী মো. খালিদ হোসেন ইয়াদ বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার কথা জানান।

এদিকে জেলা প্রশাসন বলেছে পরিদর্শণ করে তাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

হরিজন পল্লী সূত্রে জানা যায়, হরিজন পল্লীতে ১০ বছর আগে আগুন লেগে ১৬টা ঘর পুড়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে পৌরসভা থেকে মাত্র ৮টি ঘর নির্মান করে দেয়া হয়। সেই ৮টি ঘরে বসবাস করে প্রায় ৩শ হরিজন মানুষ।

অন্যদিকে পাশেই ডোম কলোনিতে ৮টি ঘরে একই ভাবে ইলিশ ফাইলের মত বসবাস করে তারা। জায়গা সংকটের কারনে একই ঘরে মা, বাবা, ছোট বোন, বড় বোন, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, বড় ভাইয়ের স্ত্রী’কে এক রুমে থাকতে হয়। পুরো কলোনীতে একটি মাত্র টিউবওয়েল, নামে মাত্র একটি গোসলখানা ও একটি পঁচা পানির পুকুর।

সেখানে কাজ বা পানি ব্যবহার করার মত কোন অবস্থা নেই। বৃষ্টি বা বর্ষার দিন আসলেই পুরো পুরান বাজারের ময়লা পানিতে ডুবে যায় পুরো হরিজন কলোনী এলাকা। মাদারীপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ২ একর জমিতে বসবাস হলেও নানা সমস্যায় জর্জরিত হরিজনরা।

হরিজন পল্লীর জমাদ্দার হরিপদো বার্তা বাজারকে জানান, এমন কোন চেয়ারম্যান, মেয়র, এমপি বা গন্যমান্য লোক নেই যারা আমাদের কথা যানে না। সবার কাছে গিয়ে আমরা ধরণা ধরেছি। কিন্তু তারা আজও পর্যন্ত আমাদের জন্য কিছু করে নাই। তবে আর কোন ওয়াদা চাইনা। আমরা বেঁচে থাকার মত সুন্দর একটি পরিবেশ চাই।

মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বর্তমান আ.লীগ মেয়র প্রার্থী মো. খালিদ হোসেন ইয়াদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বার্তা বাজারকে জানান, আমি তাদের গেট, ক্লাব, নগদ টাকাসহ বসতঘর সংস্কার করে দিয়েছি। আর একটি প্রকল্প হাতে আছে সেটা চালু হলে তাদের আর বসতঘরের সমস্যা থাকবে না।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বার্তা বাজারকে বলেন, আমি হরিজন পল্লী পরিদর্শন করে দেখবো। যেহেতু সরকার দেশের সকল ভূমিহীন ও ঘরহীনদের ঘর দিচ্ছে। সেহেতু তাদের জীবন মান পরিবর্তন ও বসবাসের জন্য সকল সু-ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আকাশ আহম্মেদ সোহেল/বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর