মুজাক্কিরের খুনীরা ৮ দিনেও ধরাছোঁয়ার বাইরে

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার ৮ দিন পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হত্যার সাথে জড়িতে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের কিছু আলামত জব্দ করা ছাড়া পুলিশ এখনও কিছু করতে পারেনি। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে সাংবাদিকরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মুজাক্কিরের ভাই নূর উদ্দিন জানান, মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় আমার বাবা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আমরা যেহেতু ওইদিন ঘটনাস্থলে ছিলাম না তাই আমরা কাউকে না দেখার কারনে মামলায় অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। ওইদিন রাতে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্ত করা হয়। আমরা পিবিআই টিমের কাছে আশাবাদী তাঁরা দ্রুত মুজাক্কির হত্যাকারীদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তার করবেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পিবিআই’র পরিদর্শক মোস্তাফিকুর রহমান জানান, আমরা মামলটি গভীরভাবে তদন্ত করছি। ঘটনাস্থলসহ প্রতিটি বিষয় আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয় নিয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বসুরহাট পৌরসভার অলোচিত মেয়র কাদের মির্জার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয় বার্তা বাজারের নোয়াখালী প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থার অবনতি হলে মুজাক্কিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর