দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিমাপক হলো পরিসংখ্যান: প্রধানমন্ত্রী

দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিমাপক হলো পরিসংখ্যান বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন অর্থনীতিসহ সমাজের অন্যান্য সব কর্মকাণ্ডের গতি-প্রকৃতি নির্ণয় ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ উপলক্ষকে কেন্দ্র করে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্ভূল পরিসংখ্যানই পারে নীতিনির্ধারকদের জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে। তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয়,মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান সংগ্রহ এবং প্রকাশ করতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মুজিবশতবর্ষে প্রথমবারের মতো ২০২১ ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ পালন করছে এজন্য আমি খুবই আন্দদিত। এ বছর জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান, টেকসই উন্নয়নের উপাদান’ যা পরিসংখ্যানের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ব্যবহারের গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিসংখ্যান কার্যক্রমে নিয়োজিত কয়েকটি পৃথক প্রতিষ্ঠানকে একীভূত ও সুসমন্বিত করে ১৯৭৪ সালে বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেন। পরিবর্তীতে বিবিএসের সার্বিক কর্মকাণ্ড সমন্বয়, তত্ত্বাবধান ও সাচিবিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় পরিসংখ্যান বিভাগ। জাতীয় পরিসংখ্যানিক ব্যবস্থার গুরুত্ব উপলব্ধি করে আওয়ামী লীগ সরকার ৮ জুন, ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ২৭ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং সময়োপযোগী পরিসংখ্যান ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের পরিবর্তিত বিশ্বকে বুঝতে সাহায্য করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পরিবীক্ষণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপাত্ত প্রাপ্যতার বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসেবে বিবিএস টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের ২৩১টি সূচকের মধ্যে ১০৫টি সূচকের উপাত্ত প্রদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত প্রদানকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার সঙ্গে হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত সরবরাহের জন্য বিবিএস সমন্বয় সাধন করছে। আমি পরিকল্পনাকারী, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ এবং গবেষকগণ, যারা দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের বিদ্যমান পরিসংখ্যানের সর্বোত্তম ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই লগ্নে বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরিস্থিতিতেও আমরা সময়োপযোগী সঠিক পরিসংখ্যানের সাহায্যে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ। আমি ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস ২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

বার্তাবাজার/ই.এইচ.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর