বিনা দোষে কারাভোগ, মুক্তি পেলেন ডাব বিক্রেতা সজল

বিনা দোষে প্রায় দেড় মাস কারাভোগের পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন ডাব বিক্রেতা সজল মিয়া (৩৪)। আদালত থেকে অব্যাহতির আদেশের অনুলিপি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে বুধবার (১২ জুন) রাত ৯টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। যদিও রাজশাহী কারাগার থেকে সন্ধ্যার পর বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয় না। তবে সজল মিয়াকে ওইদিন রাতেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হয়। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বুধবার বিকেলে মোট ১২ জন বন্দির মুক্তির কাগজ আদালত থেকে কারাগারে আসে। এর মধ্যে সজলের মুক্তির কাগজ ছিল না। এই ১২ জনকে সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হয়। পরে রাতে সজলের মুক্তির কাগজপত্র কারাগারে আসে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও রাতে আদালত থেকে কাগজপত্র এলে অন্য আসামিদের সকালে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে সজলের ঘটনাটি আলোচিত হওয়ায় রাতেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বড় ভাইয়ের স্থলে গ্রেপ্তার হওয়া ডাব বিক্রেতা সজল মিয়াকে (৩৪) দায় থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। একই সঙ্গে আসামি না হয়েও কেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামি হিসেবে সজলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সেজন্য মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

বুধবার রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (প্রথম) বিচার মো. মনসুর আলম এ আদেশ দেন। আদেশে ওসিকে সাত দিনের মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সজলের বাড়ি মহানগরীর ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকায়। বাবার নাম তোফাজ উদ্দিন। সজলের বড় ভাইয়ের নাম সেলিম ওরফে ফজল। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় ২০০৯ সালে ফজলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। রায়ের পর থেকেই তিনি পলাতক।

গত ৩০ এপ্রিল সজলকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ফজল হিসেবে সজলকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর