‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার না হয়’

আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের মাত্র দুই মাসের মাথায় সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পিলকানা হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তথ্যমন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর পাড়স্থ বাস ভবনে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশেই এতবড় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একসাথে এতো বেশী আসামীর বিচার কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিডিআর হত্যাকান্ডের পেছনে আরো কারা কারা জড়িত আছে তার তদন্ত করে বিচার করবেন, দলটির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন- খালেদা জিয়া যেখানে ঘুম থেকে দুপুর বারোটার আগে উঠেন না, অথচ ঘটনার দিন তিনি সাতসকালে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন কেন? সেদিন তিনি তারেক রহমানের সাথে ৩০-৪০ বার ফোনে কথা বলেছেন, এটার পেছনে রহস্যটা কি?

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের মামলার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন- একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন নিয়ে যে কারো মামলা করার অধিকার রয়েছে। তবে বিএনপিকে বাস্তবতা মেনে নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন- ডা. শাহাদাতের প্রতি নিজ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রাখার অনুরোধ, সেদিন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল সুস্থ সবল থাকা সত্ত্বেও কেন নিজে এবং কেন্দ্রিয় নেতারা কেউ চট্টগ্রামে আসলেন না। তাছাড়া চট্টগ্রামে যেসব কেন্দ্রিয় নেতা আছেন তারাও কিন্তু নির্বাচনের সময় তার পক্ষে কাজ করেননি। আমির খসরু মাহমুদকে দু’য়েকবার দেখা গেলেও তা প্রেস কনফারেন্সের পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিলো। সুতরাং এসবের কারণ বের করে তাদের বিরুদ্ধেও চাইলে একটি মামলা করতে পারেন তিনি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশের কোন মানুষ যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে ডিজিটাল আক্রমনের শিকার হন তখন তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্যই ডিজিটাল আইন করা হয়েছে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার যাতে না হয় সে দিকে আমরা সচেতন আছি। বিশেষ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যাতে এই আইনের অপব্যবহার না হয়, সেদিকে তথ্যমন্ত্রণালয় ও আমি ব্যক্তিগত ভাবে সব সময় সচেতন। যদি কোথাও এধরণের ঘটনা ঘটলে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়।

মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তার মৃত্যুটা অনাকাঙ্খিত। তার মৃত্যুর পেছনে কারা কর্তৃপক্ষের কোন গাফিলতি ছিল কিনা সেটা খুঁজে দেখা হবে।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর