দ্বিমুখী ও ত্রিমূখী লড়াইয়ে টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন: প্রতিদন্দ্বী ৩৩

রাত পোহালেই কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের ১০তম সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে নেতা কর্মীদের মাঝে রয়েছে নতুন নেতৃত্বের উদ্দীপনা। নতুন পুরাতন মিলিয়ে মোট প্রার্থী হচ্ছে ৩৩ জন। অধিকাংশ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ড ও মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ থাকলেও কালো টাকার প্রভাব মুক্ত এবারে একেবারে তৃনমূল থেকে উঠে আসা স্বচ্চ ও যোগ্য নেতৃত্বের আশাবাদী তৃনমূল কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পৌর শহরের দ্বীপ প্লাজা প্রাঙ্গনে অনুষ্টিত হবে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন। উদ্বোধক থাকবেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সভাপতিত্ব করবেন টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ। তবে দ্বিতীয় অধিবেশনের স্থান সম্পর্কে আনুষ্টানিক কোন সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।

টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সূত্র মতে, ৬১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটির আওতাধীন ৬টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও ২৪টি ইউনিট কমিটি রয়েছে। সব মিলিয়ে এবারে কাউন্সিলর রয়েছে মোট ১০৫ জন।

জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল সূত্র মতে, এবারে মোট ৩৩ জন বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সভাপতি পদে- সাইফুল ইসলাম মুন্না, তারেক মাহমুদ রনি, হামিদুর রহিম, জিয়া উদ্দীন, আনোয়ারুল ইসলাম সিফাত, মোহাম্মদ রফিক, রুহুল আমিন, নাসির উদ্দীন অপর জনের নাম জানা যায়নি। সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল বাসেত, সাইফুল ইসলাম, মো. শাহীন, রিসাত, তারেক মাহমুদ নূর, আরিফ মোহাম্মদ আনাছসহ মোট ২৪ জন প্রার্থী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা ছাত্রলীগের তৃনমূল নেতা কর্মীরা বার্তা বাজারকে জানান, এবারে সভাপতি পদে চূড়ান্ত লড়াই হবে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্না ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক তারেক মাহমুদ রনির মধ্যে। অপর দিকে সাধারণ সম্পাদক পদে চূড়ান্ত লড়াই হবে আব্দুল বাসেত, সাইফুল ইসলাম, মো. শাহীন, আনাছসহ তিন জনের মধ্যে। তবে তৃনমূল নেতা কর্মীদের মতে এই মূহুর্থে এই তিন জনের পাল্লাই ভারী।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সভাপতি প্রার্থী দুই জনের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও স্ব স্ব এলাকায় মাদক কারবারীদের পৃষ্টপোষতার বিস্তার অভিযোগ রয়েছে।

তাছাড়া তারেক মাহমুদ রনি বিবাহিত ও গঠনতন্ত্রের বয়সসীমার উর্ধ্বে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে রনি এইসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

অপরদিকে, অধিকাংশ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলোনা এমন বেশ ক’জন প্রার্থী কালো টাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি এবং কাউন্সিলররা চান, নতুন কমিটি যেনো সুষ্ঠ কাউন্সিলের মাধ্যমে অনুষ্টিত হোক এবং যারা দ্বীর্ঘ দিন ধরে টেকনাফ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে আছে এমন নেতৃত্ব উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসুক।

এদিকে বর্তমান সভাপতি সুলতান মাহমুদ বার্তা বাজারকে জানান, সংঠনের গঠনতন্ত্র মেনেই সরাসরি ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে কাউন্সিল অনুষ্টিত হোক সেটাই প্রত্যাশা।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বার্তা বাজারকে জানান, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অছাত্র, মাদক সংশ্লিষ্ট, বিবাহিত ও ২৯ বছরের উর্ধ্বে কেউ ছাত্রলীগের দায়িত্বে আসতে পারবেনা। জেলা ছাত্রলীগ সম্পূর্ণ ভাবে কালো টাকার প্রভাব মুক্ত। সুতরাং তৃনমূল থেকে উঠে আসা কর্মীদের প্রধান্য দেয়া হবে।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী নূরুল বশর বার্তা বাজারকে জানান, গঠনতন্ত্র মেনে কর্মীবান্ধব, মাদকমুক্ত যোগ্য নেতৃত্বে আসুক সেটাই প্রত্যাশা।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর