আফ্রিদির থাপ্পড়ে সত্য স্বীকার করেন আমির!

ডেস্ক রিপোর্ট: ২০১০ সালে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফর ছিল এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। লর্ডসে চতুর্থ ও শেষ টেস্টে ইচ্ছা করে নো বল দেন মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। টেস্ট দলের অধিনায়ক সালমান বাট ছিলেন মূল হোতা। স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করা হয় তিনজনকে। তখন মাত্র ১৮ বছর বয়স ছিল আমিরের। ঘটনার পর ওই সফরে ওয়ানডে অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির থাপ্পড়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছিলেন বাঁহাতি পেসার।

সাবেক অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাক এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের প্ররোচনায় এই কলঙ্কিত ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন আমির। তাকে পাঠানো হয় কিশোর সংশোধনাগারে। পাকিস্তানের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হন তিনি। নিষেধাজ্ঞা শেষে ২০১৫ সালে আবার ক্রিকেটে ফেরেন তিনি ঘরোয়া ম্যাচ খেলে। আর পরের বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার পা রাখেন টি-টোয়েন্টি দিয়ে।

স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনার কথা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের আদালতে স্বীকার করেন আমির। এর আগে আফ্রিদি তাকে নিয়ে আলাদা বসেছিলেন। সেখানে রাজ্জাকও ছিলেন। কী ঘটেছিল ওইদিন, জিএনএন নিউজ চ্যানেলকে জানালেন সাবেক অলরাউন্ডার, ‘সে (আফ্রিদি) আমাকে রুমের বাইরে যেতে বলেছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই একটা থাপ্পড়ের শব্দ শুনতে পেলাম। এরপর আমির পুরো সত্যটা জানালো।’

৩৯ বছর বয়সী রাজ্জাক আরও দাবি করেন, ইংল্যান্ডে এই ঘটনার আগেই ইচ্ছা করে আউট হতেন বাট এবং অনেক ডট বল খেলতেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার এই আশঙ্কার কথা আফ্রিদিকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু সে বলতো এটা আমার ভুল বোঝাবুঝি। কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্ব টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে যখন সালমান বাটের সঙ্গে ব্যাট করছিলাম, আমি বুঝতে পারছিলাম সে আমাদের দলকে ডোবাবে।’

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর