সিরাজগঞ্জে বসন্ত বরণে ফুলের দোকানে ভিড়

‘হে কবি! নীরব কেন-ফাগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়’ কবির নির্লিপ্ততা ভাঙতেই যেনো পাতার আড়ালে লুকিয়ে কুহু স্বরে ফাগুনের মাতাল আবেশ ছড়াতে শুরু করেছে কোকিল। ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে গাছ।

জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ শহরের কলেজ রোর্ডের ফুলের দোকানগুলোও। চলছে বসন্তবরণ ও ভালোবাসাকে বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতি। উঠতি বয়সী তরুন-তরুনীসহ প্রায় সব বয়সী মানুষ ফুল দিয়ে সেজেছে প্রকৃতির রংয়ে। প্রকৃতির এই বদলের রং লেগেছে ফুলের দোকানগুলোতেও। তাই ব্যস্ত সময় পার করছে ফুল ব্যবসায়ীরা।

ক্রেতারা বার্তা বাজারকে জানান, এবার ফুলের দাম একটু বেশি। কিন্তু বিক্রেতারা বার্তা বাজারকে বলেছেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হওয়ায় ফুলের দাম এবার একটু বেশি। দাম দিয়ে কি আর সব কিছুর যাচাই হয়।

বসন্তের ফুল নিতে প্রিয়জনের সাথে ফুলের দোকানে। ছবি-বার্তা বাজার

এদিকে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে ফুল ব্যবসা। গোলাপ, গ্লাডিওলাস, গাঁদাসহ নানা ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। বসন্ত বরণে দোকানে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় জমেছে। সিরাজগঞ্জ কলেজ রোর্ডে স্থায়ী ফুলের দোকান তিনটা থাকলেও গতকাল থেকে ভ্রাম্যমাণ ফুলের দোকান বসেছে আরও ৭টি। সেখানেও ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। আর এসব দোকানে রয়েছে সতেজ তরতাজা হরেক রকম ফুলের সমারোহ।

দোকানিরা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রায় ৮ থেকে ১০ ধরনের ফুলের পসরা সাজিয়েছেন। গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, অর্কিড, জিপসী, জারবেরা ইত্যাদি সব ফুল। গোলাপ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০, জিপসী প্রতি আটি ২শ, রজনীগন্ধ্যা প্রতি পিস ১৫, গ্লাডিওলাস প্রতি পিস ১৫, অর্কিড প্রতি পিস ২০, জারবেরা প্রতি পিস ২০, মাথার ব্যান্ড বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০, গাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

ফুল কিনতে আসা সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোছাঃ বিউটি খাতুন বার্তা বাজারকে জানান, তিনি তার প্রিয় মানুষের জন্য ফুল কিনতে এসেছেন। কিন্তু ফুলের দাম একটু বেশি। তারপরও প্রিয়জনকে খুশি করতে হবে।

আরেক ক্রেতা মোকাদ্দেস ইসলাম আপন মনে করেন ভালোবাসার প্রতীক ফুল ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। তাই তিনি আগেই ফুল কিনতে এসেছেন। ফুলের দাম যাই হোক না কেন প্রিয় মানুষটির জন্য তা মূল্যহীন।

ফুল কিনতে আসা ক্রেতা মেগা রানী বার্তা বাজারকে বলেন, বাঙালির জীবনে ফাল্গুন আর ফুল এক সূতায় জড়িয়ে আছে। তাই ফাল্গুনকে বরণ করে নিতে বন্ধুদের সাথে আজকেই ফুল কিনতে এসেছি।

কলেজ রোর্ডের রাজা ফুল ঘরের মালিক রাজ কুমার শাহ রাজা বার্তা বাজারকে জানান, ১ লাখ ৫ হাজার টাকার ফুল এনেছি। প্রতি বছরের তুলনায় এবার ফুলের দাম একটু বেশি। তবে ক্রেতাদের যে চাহিদা তাতে ভালই ব্যবসা হবে বলে আশা করছি।

পাশ্ববর্তী চমক ফুল ঘরের মালিক রতন বার্তা বাজারকে বলেন, করোনার কারনে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় ফুলের ব্যবসা ভালো যাচ্ছেনা। দেখি ভালোবাসা দিবসে কিছুটা ক্ষতি পুষে নেয়া যায় কিনা।

এম এ মালেক/বার্তাবাজার/হৃ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর