চীন সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

আগামী জুলাইয়ে চীনে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১০ জুন) চীন সরকারের পাঠানো এক নোট ভার্বালে আগামী ১ থেকে ৫ জুলাই আনুষ্ঠানিক সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

সরকারের একজন কর্মকর্তা জানান, এই সফরের উদ্দেশ্য দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করা এবং ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ২ জুলাই ডালিয়ানে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্রীস্মকালীন বৈঠকে অংশ নেবেন। ৩ জুলাই তিনি বেইজিং যাবেন।

এর আগে ২৭ মার্চ চীনে যাওয়ার আমন্ত্রণ থাকলেও সেই সময়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য বেইজিং সফরে যাওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা একটা ভালো সফর আশা করছি। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তবে আগামী ১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী রওয়ানা দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকা সফর করেছেন এবং এটি তার ফিরতি সফর।’এই সফরের উদ্দেশ্য দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করা এবং ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, শি জিনপিংয়ের সফরের সময় বাংলাদেশ ও চীন ২৭টি চুক্তি সই করে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সহজ শর্তে বাণিজ্যিক ঋণের চুক্তি ছিল। তার মধ্যে ৫৭০ কোটি ডলারের ঋণ এরই মধ্যে নিষ্পন্ন হয়েছে।
সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা চীন সফর করেছিলেন এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চেচিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছিলেন। চীনের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

তিনি বলেন, ‘এবারও এ ধরনের একটি ফরম্যাটে সফরটি হবে এবং এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রুনাই, জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফর করেছেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর