২ পয়েন্ট লাগবেই মাশরাফির

টানা দুই হারে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। ঘুরে দাঁড়ানোর পালা শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ব্রিস্টলে শুরু হবে ম্যাচটি। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপটা শুরু হয় দারুণভাবে।

পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জিততে জিততে হেরে যাওয়া ম্যাচ নিয়েই আক্ষেপের আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হারটা অনুমেয় ছিল বলা যায়। তবু ইংলিশদের বিপক্ষে সাকিবের শত রানের ইনিংস অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়াবে বাকি ম্যাচ গুলোয়।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে মাঠে খেলবে বাংলাদেশ, এই ব্রিস্টলে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে প্রায় ৯ বছর আগে। সেই জয়ের অনুপ্রেরণাটাও নিশ্চয় কাজে লাগাবে মাশরাফিরা!

তার আগে বাংলাদেশ দলওকে ভাবাচ্ছে তামিম ইকবালের অফ-ফর্ম, বোলারদের একই দশা। এর ভেতর উঁকি দিচ্ছে বৃষ্টি। সবমিলে মাশরাফির চাওয়া, ম্যাচটা যেন ঠিকমতো শেষ হয়।

“হ্যাঁ, আমি আশা করি আগামীকালকের ম্যাচটা ঠিকঠাকভাবে শেষ হবে। আমি মনে করি, আমাদের দলের সবাই ঠিক আছে। হ্যাঁ, দুই ম্যাচ হারের পরে কম-বেশি সবাই হতাশ হয়েছে, বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা। এই ধরণের টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকে কেউই কিছু বলতে পারবে না কারণ, ছেলেরা সত্যিই ম্যাচ জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে।’’

মাশরাফি মনে করেন, পেছনে যা হয়েছে সেসব আর সামনে না আনতে। যা হবার তা তো হয়ে গেছে। ভাবনায় এখন শুধুই শ্রীলঙ্কা ম্যাচ।

‘আমি মনে করি আমাদের অবশ্যই আগামীকালের ম্যাচে মনোযোগ দেয়া উচিত। অতীতে যা ঘটেছে সেটা নিয়ে চিন্তা করার সময় এখন না। কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও এমন প্রশ্ন ছিল যে, আমরা ওইমাঠে দুইবার জিতেছি এবং কী ঘটবে। এই ম্যাচে আমরা খারাপ ভাবে হেরেছি। সুতরাং, এভাবে কিছুই ভাববার নেই। আমাদের খেলতে হবে, কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। ম্যাচটি জিততে হবে এবং তারপরে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা ঠিক পথেই আছি।’

মাশরাফি আরও বলেন, এখানে চাপমুক্ত হবার কোনও সুযোগ নাই। এখানে সব প্রতিপক্ষই সমান। এই যেমন আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ। আমরা যেমনটা ভাবছি, ঠিক তারাও তাদের প্ল্যান অনুযায়ী খেলবে। তবে দিনশেষে আমদের জয়টা চাই, ২ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে চাই। তাই আমাদের প্রথম বল থেকেই সেভাবে খেলতে হবে।