ভোটের দিনে ভাড়া নৈরাজ্য গণপরিবহনে, ভাড়া আদায় হচ্ছে দ্বিগুণ

এনজিও কর্মী মিজানুল এবং মুনতাসিম। ভোটের দিনেও প্রতিদিনের মত আজও যাচ্ছিলেন কর্মক্ষেত্রে। এবার চসিক নির্বাচন উপলক্ষে নেই সাধারণ ছুটি৷ কিন্তু বাসে ওঠার পরই নেমে যেতে হলো তাঁদের। ৫ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। তার ওপর গণপরিবহন সংকট তো আছেই।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় প্রতিবেদকের কথা হয় তাঁদের সাথে।

বার্তা বাজারের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে মিজানুল বলেন, ‘ভোটের দিনে এবার সাধারণ ছুটি নেই। তাই অফিস খোলা। এদিকে গাড়িও পাচ্ছিনা। আর বাড়তি ভাড়া তো আছেই৷ জানিনা আজ অফিস যেতে পারবো কিনা।’

সরেজমিনে এইদিন নগরের ফ্রিপোর্ট, আগ্রাবাদ, জিইসি এবং বহদ্দারহাট মোড় এলাকা ঘুরে দেখা মিলেছে এসব চিত্রের। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গণপরিবহন সংকটের কারণে অফিসগামী যাত্রীরা পড়েছে বিপাকে। সুযোগে গণপরিবহনগুলোও হাতিয়ে নিচ্ছে দিগুণ টাকা।

সাগর নামে একজন চাকুরিজীবী বলেন, ‘ভোটের দিনে ছুটি নেই, অফিস খোলা। এটা কোনো সিস্টেম হতে পারেনা৷ এমনেই আমরা গণপরিবহনের কাছদ জিম্মি। তার ওপর আজ গাড়িরও সংকট। এখন ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হবে অফিসে।’

ভাড়া বেশি নিচ্ছেন কেন?—জানতে চাইলে বাস হেল্পার সুমন বলেন, ‘রাস্তার অবস্থা খারাপ তাই ভাড়া বেশি৷ এর বেশি কিছু বলতে পারতেছি না।’

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বার্তা বাজারকে বলেন, ‘বাস সবগুলো চলাচল করতে পারছেনা। তিন ভাগের দুই ভাগ বাসই পুলিশের রিকুইজিশনে। প্রায় ৩০০ বাস রিকুইজিশন করেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভাড়া বেশি আদায় করা হলে সেটার জন্য ট্রাফিক ডিভিশন আছে, তারা দেখবে। ভাড়া তো মালিক নিচ্ছেনা। ভাড়া নিচ্ছে শ্রমিকে এবং সেটার জন্য শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়ার দরকার ট্রাফিক বলেন বিভাগ সে ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমাদের কোনো দ্বিমত নাই এতে। কারণ আমরা কাউকে ভাড়া বেশি নিতে বলিনায়।’

উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় কোনো সাধারণ ছুটি থাকবে না এবং যথারীতি গাড়ি চলাচল ও অফিস-আদালত চলবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষে নগরীতে তিন দিন মোটরসাইকেল, সিএনজি, মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপসহ সড়কে যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে ২৫ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশের কথাও জানানো হয়েছিল।

মো. রবিউল হোসেন/বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর