পেকুয়ায় পাহাড়ের রিজার্ভ ভূমিতে গাছ কেটে করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বার্তা বাজার: কক্সবাজারের পেকুয়ায় পাহাড়ের রিজার্ভ ভূমিতে গাছ কেটে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দখলস্বত্বের মালিক পক্ষের সাথে জবরদখলকারীর লোকদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীযরা।

সোমবার (১০জুন) উপজেলার টইটং ইউনিয়নের গর্জনিয়া পাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। দখলস্বত্বের মালিক গর্জনিয়া পাড়া এলাকার মৃত নজির আহমদ খলিফার পুত্র মাওলানা নুরুল আমিন বলেন, আমরা ছয় ভাই দুই বোন। সমানভাবে ৩০শতক রিজার্ভ ভূমির অংশিদার। মা বেঁচে থাকা অবস্থায় মায়ের অংশ থেকে ১০শতক জমি দান পত্র করে দেন। ওই জমি আমি দীর্ঘ ২০০৪ সাল থেকে ভোগদখল করে আসছি। বেশ কিছুদিন থেকে আমার পৈত্রিকপ্রাপ্ত জমি ও মায়ের দানপত্র মূলে পাওয়া জমি জবর দখল করার জন্য চেষ্টা করে আসছিল একই এলাকার নুরুল হোসেন, নুরুল আনোয়ার , নুরুল ইসলাম ও নুর মুহাম্মদ। জবর দখল চেষ্ঠার বিরুদ্ধে আমি মামলাও করেছিলাম।

যার মামলা নং ৪৫৩/১৫ইং। সংঘবদ্ধ আসামীরা আমাকে পৈত্রিক প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে ৬শতক জমি বেদখল করার পাশাপাশি ঘটনার দিন সকাল থেকে ভাড়াটি সন্ত্রাসী আমির হোসেনকে সাথে নিয়ে দানপত্র মূলে পাওয়া জমিতে ঘর তৈরি কাজ শুরু করেছে। আমার পরিবার জবরদখল চেষ্ঠার বাধা প্রদান করলে আমি চট্টগ্রামের মসজিদের ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে হামলার চেষ্ঠা করে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ। এসময় তারা আমার রোপিত লক্ষাধীক টাকার গাছ কেটে নেয়।

তিনি আরো বলেন, ভূমিদস্যু আমির হোসেন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। এর আগে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাভাবে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আমার ছেলে মিজবাহ হুম রাব্বানীকে ঈদের আগে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আমরা তাদের কাছে খুব অসহায়। তারা স্থানীয় থানা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আমি স্থানীয় প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে পেকুয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল গফুর মোল্লা বলেন, রিজার্ভ ভূমিতে কেউ অবৈধ উপায়ে ঘর তৈরি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর