ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে হামিদুল হত্যার রহস্য উদঘাটন: গ্রেফতার-৫

রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মোঃ হামিদুল ইসলাম (৫৫) হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একটি টিম।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-মোঃ সোহেল ওরফে এরাবিয়ান সোহেল, মোঃ জাহিদ হোসেন, মোঃ শুক্কুর আলী, মোঃ শাকিল ওরফে ডুম্বাস ও মোঃ সোহেল মিয়া। এ সময় তাদের হেফাজত হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১টি চাকু, ১টি মোটরচালিত রিকশা, লুন্ঠিত মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর উত্তর মুগদা ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম–বার।

তিনি বলেন, হামিদুল ইসলাম গত ২৫ বছর ধরে সেগুনবাগিচা হইকোর্ট এলাকায় ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে তিনি সেগুনবাগিচা এলাকায় থাকতেন। তিনি জাসদের শাহবাগ থানা এলাকার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি গত ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ পুরান ঢাকায় অবস্থিত তার ফ্ল্যাটের ভাড়া তুলে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা রুজু হয়। ডিবি রমনা বিভাগ এই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের সাথে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার দিন মোটরচালিত রিকশাযোগে হাইকোর্ট মাজার গেটের বিপরীত পাশে এসে অবস্থান করে। সাকিল মোটরচালিত রিকশা নিয়ে সেখানে অপেক্ষারত থাকে। আনুমানিক ০৮.৩০ টায় বাকি ৪ জন হাইকোর্টের ঈদগাহ মাঠের সামনে ফুটপাতের উপরে হামিদুর রহমানের গতিরোধ করে তার নিকটে থাকা ০১টি স্যামসাং এ ২১-এস মোবাইল ফোন ও পকেট হতে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। তারা ভিকটিমের পকেটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে ভিকটিম চিৎকার করে। তখন গ্রেফতারকৃত মোঃ সোহেল তার নিকটে থাকা চাকু দিয়ে ভিকটিমের পায়ে ও হাতে আঘাত করে। ভিকটিমকে ফেলে রেখে ছিনতাইকারী দল দ্রুত পালিয়ে যায়। পথচারিরা আহত অবস্থায় হামিদুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আমরা ছিনতাইকারী চক্রটিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

কেউ যদি এমন ঘটনার সম্মুখীন হন তাহলে পুলিশকে অবহিত করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন পুলিশের এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

গ্রেফতারকৃতদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর