কাতারে ফিরেছেন আটকে পড়া ৭ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি

করোনার কারণে ঢাকা ও দোহা রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকার পর গেল বছর সেপ্টেম্বরে পুনরায় বিমান চলাচল শুরু হয় এরপর হতে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার আটকে পড়া কাতার প্রবাসী বাংলাদেশি সেদেশে ফিরে গেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় তারা ফিরেছেন।

বাকিদের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেলসহ কর্মকর্তাপর্যায়ে বেশ কয়েকটি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। কাতার সরকার পর্যায়ক্রমে আটকা পড়া লোকদের ফিরিয়ে আনছে এবং আটকে থাকা বাকি বাংলাদেশিদেরও ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ২৫০০ আটকে পড়া প্রবাসী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করেছেন, যাদের তথ্য বাংলাদেশ দূতাবাস কাতারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রেরণ করেছে। আটকে পড়া প্রবাসীদের বিষয়ে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। এরমধ্যে প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য ২৫০০ জন প্রবাসীর সঙ্গে দূতাবাস হতে যোগাযোগ করা হয়েছে। আটকে পড়া প্রবাসীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে দূতাবাস হতে যোগাযোগ করে তাদের কর্মীদের দ্রুত ফিরে আনার ব্যাপারে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা তাদের কর্মীদের ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেননি। কিছু আবেদনকারী তাদের নিয়োগকর্তা আবেদন করেছেন কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত নন। এছাড়া, যাদের কোম্পানির কোনো নাম ঠিকানা নেই সেসব কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এতে আরও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই কাতার সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কাজ করছে এবং কোভিড সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করছে। যে কারণে কাতারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দুটিই কম। ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৪৬ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনকে কেন্দ্র করে যে সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান তা সম্পূর্ণ করার জন্য কোভিড সংক্রমণের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য কাতার সরকারের পক্ষ হতে জোর প্রচেষ্টা আছে। এর অংশ হিসেবে কাতারে আগত ব্যক্তিদের জন্য ৭ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইন আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করেছে। ফলে কোয়ারেন্টাইন সুবিধা অনুযায়ী প্রতিদিন নির্দিষ্ট হারে লোক কাতারে ফিরে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর হতে মাত্র চার মাসে বড় সংখ্যক আটকে পড়া কাতার প্রবাসী বাংলাদেশি এরমধ্যে কাতারে ফিরে গেছেন। আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা নিয়োগকর্তার আবেদন সাপেক্ষে আটকে পড়া বাকি প্রবাসীরা পর্যায়ক্রমে কাতারে ফিরতে পারবেন। কাতারে ফিরতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো টোকেন নেয়ার প্রয়োজন নেই। কোনো নম্বর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে টোকেন সংগ্রহ করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক বার্তা প্রেরণ করা হলে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বাংলাদেশে অবস্থানরত কাতার প্রবাসীদের অনুরোধ করা হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর