ভোলার দুর্গম চরে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতা সভা

ভোলার দুর্গম জনপদ মাঝের চরে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতায় প্রামান্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোলা বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে ও কোস্ট ট্রস্ট, ইউনিসেফ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় এই প্রামান্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (২৫ জানায়ারি) দুপুরে ভোলা সদরের কাচিয়া ইউনিয়নের উত্তর-পশ্চিম কাচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নকীব।

বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ভোলা এর সভাপতি, এসএ টিভি ও নয়াদিগন্ত জেলা প্রতিনিধি এ্যাডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, কোস্ট ট্রাস্ট এর এপিসি প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, দক্ষিণ জামিরালতা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার প্রভাষক ও বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নির্বাহী সদস্য মীর নুরে আলম ফরহাদ, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি ও দেশটিভি জেলা প্রতিনিধি ছোটন সাহা প্রমুখ।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম শাহরিয়ার জিলন।

বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির প্রচার সম্পাদক গোপাল চন্দ্র দের উপস্থাপনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম তুহিন, ইউপি সদস্য আবদুর রহমান, উত্তর-পশ্চিম কাচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাবুল, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মইনুল এহসান, সহ-কোষাধ্যক্ষ ফজলে রাব্বী, সদস্য অংকুর রায় প্রমুখ।

সভাশেষে উপস্থিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও চরবাসীকে বাল্যবিয়ে থেকে বিরত থাকতে শপথ পাঠ করানো হয়।

সভায় বক্তারা বাল্য বিয়ে সম্পর্কে কুফল তুলে ধরে বলেন, বাল্য বিবাহ আমাদের দেশের দীর্ঘ দিনের একটি সামাজিক অভিশাপ। বাল্য বিবাহের অভিশাপে একজন নারীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বিকশিত হতে দেয় না। একটি সুস্থ জাতি পেতে হলে দরকার একজন শিক্ষিত মা। শিক্ষিত মায়ের দ্বারাই সম্ভব একটি সুস্থ জাতি এবং একটি সুস্থ সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তোলা। কিন্তু বাল্য বিবাহের কারণে আমাদের এই সমাজের বেশির ভাগ মেয়ে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। আগামী প্রজন্মও সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠা ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতেও বাল্য বিবাহ বড় একটি বাধা। আমাদের জীবনে আধুনিকতা ও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও বাল্য বিবাহের প্রবনতা কমেনি। বাল্য বিবাহ বন্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকলেও সমাজের সাধারণ মানুষের জনসচেতনতা না থাকার কারণে এর কার্যকরতা তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বাল্যবিয়ে বন্ধে সকলকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। তৃনমূল পর্যায় থেকে সকলে সচেতন হলেই বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব হবে।

মো:অনিকা/বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর