লামায় ভ্রাম্যমান আদালতে অতিরিক্ত জরিমানা করায় ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

বান্দরবান লামায় মোবাইল কোর্ট পরিচালানা করে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত জরিমানা আদায় করার দায়ে বাজারের সকল ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় বাজারের সকল দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা রাজপথে আন্দোলনে নামে।

জানা যায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করায় লামা বাজারের জনতা রাইস মিলের মালিক শফিকুল ইসলামকে ৪০ হাজার, মুদি দোকানদার আব্দুল মান্নানকে ৫ হাজার, মেসার্স চাষী এন্টারপ্রাইজের মালিক নুরুল ইসলামকে ১০ হাজার, মেসার্স সেলিম স্টোরের মালিক ওসমান গণিকে ১০ হাজার, মুদি দোকানদার মোঃ ইব্রাহিমকে ২ হাজার, মুদি দোকানদার শাহরিয়ার আলমকে ৩ হাজার, বিছমিল্লাহ ভাতঘরের মালিক মোঃ কামাল উদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার আইনে ২ হাজার ও মাস্ক পরিধান না করায় মোঃ আবুল খায়েরকে ২ শত টাকা জরিমানা করেন। এতে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে অতিরিক্ত জরিমানা করে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করেছেন বলে দাবি করছেন আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা। ফলে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।

বিষয়টি অবগত হয়ে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজা রশীদ ও লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আলমগীর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করেন। ঘন্টা ব্যাপী দোকানপাট বন্ধ থাকার পরে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এর মধ্যস্থতায় ভবিষ্যতে ভ্রাম্যমান আদালতে মোবাইল কোর্টের নামে অতিমাত্রায় জরিমানা না করার আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে।

ব্যবসায়ীদের নেতারা বলেন, বাজারে প্রতিদিন সরকার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করুক তাতে কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু মোবাইল কোর্টের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা যাবে না। কারণ লামাবাজার হলো গরীব এলাকা। ধারদেনা ও ব্যাংকের ঋণ নিয়ে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেন।

এদিকে ভেজাল দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি, ওজনে কম দেওয়া, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্য সামগ্রী বেশী দামে বিক্রি, হোটেল গুলোতে পঁচা ও বাশি খাবার বিক্রি, মেয়াদ উত্তীর্ণ পন্য সামগ্রি বিক্রি এবং ভোক্তাদের সাথে প্রতারনা করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই সকল ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হলে কৌশলে এই অভিযান বন্ধ করার চেষ্টায় বিক্ষোভ করা হয় বলেও সূত্রে জানা গেছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বার্তা বাজারকে জানান, ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হলে ভেজালকারীদের ক্ষতি হয়। আর জনসাধারণ উপকৃত হয়। কোন বিক্ষোভ সরকারের জনবান্ধব কাজকে থামাতে পারবেনা। আইন তার নিজ গতিতে চলবে।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর