ভারতে পাচার হওয়া ৩৮ শিশুকে বেনাপোল দিয়ে ফেরত

ভাল কাজের কথা বলে ও বেড়ানোর কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়া ৩৮ বাংলাদেশি শিশুকে উদ্ধারের পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ উপ—হাইকমিশন কলকাতার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এসব বাংলাদেশিকে পরবর্তীতে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এদের মধ্যে পুরুষ মহিলার পাশাপাশি শিশুও রয়েছে।

পাচার হওয়া শিশুরা হলেন- বাগেরহাটের শাহানাজ আক্তার, তৃষ্ণা মণ্ডল, আফসানা আক্তার, তুহিন হাওলাদার, ফারজানা আক্তার, সাহাজুল শেখ, মীম হাওলাদার, সোনা শেখ ও শাকিব, নড়াইলের আশা শেখ, রুকসানা মোল্লা, পপি রানী শিকদার, ফরিদপুরের রহিমা খান, বগুড়ার আদুরী খাতুন, কবিতা আক্তার, গাইবান্ধার সানজিদা বেগম, নীলফামারীর অনুপা বিবি।

কক্সবাজারের রাফা মনি ও সুহান, নারায়ণগঞ্জের রুনা আক্তার, নাসিমা ভূঁইয়া, সানজিদা আক্তার, খুলনার তীর্থ বিশ্বাস, মৌসুমি আক্তার, সোনালী খাতুন, বরিশালের সুমি আক্তার, যশোরের কিয়া খাতুন ও মাকসুদা বেগম, সাতক্ষীরার নূরজাহান, নরসিংদীর পাইরা বেগম, পাবনার পারভিন বেগম, সাতক্ষীরার রিক্তা, ঢাকা কেরানীগঞ্জের অজয় মণ্ডল, নোয়াখালীর শাকিল। ঝিনাইদহের দীপ-রঞ্জন বিশ্বাস, পিরোজপুরের রাজিব হাওলাদার, লক্ষ্মীপুরের রবিউল ইসলাম রনি ও কুড়িগ্রামের মোফাস্বেল হক।

জানা গেছে, পাচার হওয়া শিশুরা সবাই গরিব পরিবারের। তাদের বয়স ১০-১৬ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে কাউকে ভালো কাজের কথা বলে আবার কাউকে বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে ভারতে পাচার করে দালাল চক্র। পরে সেখানে জোর পূর্বক বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে তাদের ব্যবহার করতে থাকে।

উপ-হাইকমিশন কলকাতা সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় আটককৃতদের দেশে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। ভারতে আটককৃত এসব বাংলাদেশিকে দেশে পাঠাতে নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর ফিরে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর