গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত

ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস ২৪ জানুয়ারি। ১৯৬৯ সালের এই দিনে এদেশের ছাত্র-জনতা অকাতরে বুকের রক্ত দিয়ে গণমানুষের স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রামে এক নতুন দিগন্তের সূচনার দিন। এই দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডেটাকার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার রবিবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকায় তার দপ্তর থেকে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন এবং ডেটাকার্ড ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। এই উপলক্ষে মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিবৃতিতে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৭ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তাল এ দিনগুলোতে স্বৈরাচারী সরকারের বুলেটের আঘাতে প্রাণ দেয়- আসাদ, রুস্তম, মনির, মতিউর, ড. জোহাসহ নাম না জানা অসংখ্য মানুষ। ৮ দিনের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২৪ জানুয়ারি স্বৈরাচারী সরকার পিছু হটে। তিনি বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তী সময় ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি মহান স্বাধীনতা অর্জন করে। ২০ জানুয়ারি শহিদ আসাদের রক্তের পথ বেয়ে সারাদেশে আন্দোলনের আগুন জ্বলে ওঠে। পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতে ১৯৬৯ সালের এ দিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণে নিহত হন নবকুমার ইন্সটিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান। জনতার রুদ্ররোষ এবং গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুবের স্বৈরতন্ত্রের।

স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম পরবর্তীতে ঢাকা জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো ও অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সকল ডাকঘর থেকে বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর