সারাদেশে ব্যাপক চাহিদা ফটিকছড়ির মূলার

সারাদেশে ব্যাপক চাহিদা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বিশাল আকারের মূলার। ব্যতিক্রমী আকৃতি আর স্বাদের জন্য এটি কিনতে ছুটে আসেন দূরদূরান্তের ক্রেতারাও। কৃষকরা বলছে, শীতের মৌসুমে উৎপাদিত এই মূলা মূলত জাপানী জাতের। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির পাহাড়ি ও উর্বর বেলে দো-আঁশ মাটিতে এ মূলার ফলনও হয় ভালো।

উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে হালদা ও ধুরুংসহ বিভিন্ন নদী ও খাল। হালদা ও ধুরুং খালের দুই তীরসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে শীতের মৌসুমে চাষ হয় বড় আকৃতির এ মূলার। যার একেকটির ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর স্বাদও দারুণ!

ফটিকছড়িতে মুলার ফলন ভাল হওয়াতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ছুটে আসছে মুলা ক্রয়ের জন্য। দেশ জুড়ে খ্যাতি রয়েছে ফটিকছড়ির বুকের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদী, ধুরুং খালে চরে উৎপাদিত শাক-সবজির।প্রতি বছরই মুলা চাষ বেড়েই চলছে এ বৃহত্তর ফটিকছড়িতে।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল মাইজভান্ডারী ত্বরিকার প্রবর্তক হযরত শাহ্ছুফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর ১০ মাঘের ওরশ শরীফে অনুষ্টিত হয়। আর এ ওরশকে কেন্দ্র করে মাইজভান্ডারের এলাকাজুড়ে বসে গ্রামীনমেলা বা লোকজ পণ্যের মেলা। যা মাঘের মেলা হিসেবে পরিচিত। আর এ মেলার অন্যতম আর্কষণ হল মূলা। দেশে জুড়ে ফটিকছড়িতে মাইজভান্ডারী আশেক ভক্তদের মাঝে এ অঞ্চলের মুলার আলাদা কদর রয়েছে।

ব্যতিক্রমী আকৃতির ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই মূলা কিনতে। চাহিদা থাকায় এর চাষও দিন দিন বাড়ছে।

চট্টগ্রামের বাশঁখালী থেকে মাইজভান্ডার দরবার শরীফ জেয়ারতে আসা মুহাম্মদ হানিফ বার্তা বাজারকে জানান, শুনেছি ফটিকছড়ির মূলা বেশ সুস্বাদু। তাই মূলা ক্রয় করে নিয়েছি।

সুয়াবিল থেকে মূলা বিক্রি করতে আসা কৃষক আব্দুর জব্বর বার্তা বাজারকে জানান, আমরা মুলত মাইজভান্ডার ওরশে কেন্দ্র করে মূলা উৎপাদন করি। কারণ সারাদেশ থেকে আসা ভক্তদের কাছে এই মূলার চাহিদা বেশি। এতে ভালো মূল্যও পাওয়া যায়।

কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জাপানি হাউব্রীড জাতের এ মূলা পাহাড়ি ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং ফলনও হয় ভালো। গত বছর চট্টগ্রামে ৫ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিশাল আকৃতির এই মূলার চাষ হয়েছিলো। আর উৎপাদিত হয়েছিলো ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিকটন।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর