‘এমপি একরাম নেশা করে’

নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী নেশা করে মাতাল হয়ে ওবায়দুল কাদেরের পরিবার সম্পর্কে কটুক্তি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান।

ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কটুক্তি করায় এমপি একরামের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নোয়াখালী ৪ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে রাজাকারের পরিবার বলে কটুক্তি করায় কোম্পানীগঞ্জে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পৌরসভার রূপালি চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

খিজির হায়াত খান বলেন, এমপি একরাম নেশা করে মাতাল হয়ে রাতে বলেছে ওবায়দুল কাদেরের ফ্যামিলি রাজাকারের ফ্যামিলি, সকালে বলেছে আমি ওবায়দুল কাদেরকে বলিনি বলেছি কাদের মির্জার ফ্যামিলিকে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে কাদের মির্জা আর ওবায়দুল কাদেরের ফ্যামিলির মধ্যে পার্থক্য কোথায়। এমপি একরামযে নেশা করে মাতাল হয়ে পাগলামী করছে তা জনগনের কাছে স্পষ্ট। এরকম মাতাল, নেশাগ্রস্থ নেতার প্রয়োজন নোয়াখালীতে নেই বলে দাবী করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান।

মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, একরামুল করিম চৌধুরী আমাদের বিরুদ্ধে দির্ঘদিনের সড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে এখন আমাদের সকলের নেতা ওবায়দুল কাদের কে নিয়ে কটুক্তি করা শুরু করেছে যা আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন। এই একরামের বিষয়ে সতর্ক করতে গিয়ে আজ আমি মামলার আসামী, আজ আমি সমালোচিত, আজ আমাকে বলা হচ্ছে পাগল। একরামের তৈরী সন্ত্রাসীরা শুধু আমাকে পাগল বলে ক্ষান্ত হয়নি তারা বঙ্গবন্ধুকেও পাগল বলে স্লোগান তুলেছে।

কেন্দ্রীয় নেতাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, সময় থাকতে যদি আগাছা পরিস্কার না করা হয় সেদিন বেশি দূরে নয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অপবাদ দিতে কুণ্ঠাবোধ করবেনা এই একরাম। তার অন্যায় ও জুলুমে নোয়াখালীর মানুষ আজ অতিষ্ঠ, তার অপরাজনীতির কারনে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আজ ছিন্নবিচ্ছিন্ন। অনতিবিলম্বে তাকে নোয়াখালী জেলা কমিটি থেকে বহিষ্কার করার জোর দাবী জানিয়ে তিনি বলেন তাকে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে চালিয়ে যাবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেল। উপজেলা যুব লীগের সভাপতি গোলাম সরওয়ার। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিজাম উদ্দীন মুন্না প্রমূখ।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর