কাউন্সিলর হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল হত্যাকারি আটক

সিরাজগঞ্জে নব-নির্বাচিত কাউন্সলির মো. তরিকুল ইসলামের মূল হত্যাকারি জাহিদুল ইসলামকে (২০) ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানার ধলপুর থেকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত জাহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়া মহল্লার টিক্কা ব্যাপারীর ছেলে।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম (বিপিএম) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ডিএমপি এবং পিবিআই এর সহযোগীতা গ্রহণ করা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগীতায় হত্যাকান্ডের সাথে সারাসরি সম্পৃক্ত জাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এবং জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।

সিরাজগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. স্নিগ্ধ আখতার বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগীতায় কাউন্সিলর তরিকুলের মূলহত্যাকারি জাহিদুল ইসলামকে রাতেই আটক করে সিরাজগঞ্জ নিয়ে আসে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, আটককৃত জাহিদুল ইসলাম পৌর নির্বাচনে শাহাদত হোসেন বুদ্দিনের সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনের তিনদিন আগে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার জন্য ঢাকা থেকে সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়া নিজ বাড়িতে আসে এবং দুইদিন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়। নির্বাচনের আগের দিন রাতে এক আসামীর বাড়িতে তার উপস্থিতিতে এজাহার নামীয় ও অন্যান্য আসামীরা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী তরিকুল ইসলাম খানের উপর হামলার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এজাহার নামীয় একজন আসামী তাকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি দেয়। এছাড়াও এজাহার ঐ আসামীর বাড়িতে রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র মজুদ রাখা হয়।

ফলাফল ঘোষনার সময় অন্যান্য আসামীদের সাথে সে ছুরি নিয়ে শহিদগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রার্থী বুদ্দিন ও তার সমর্থকদের সাথে উপস্থিত হয়। সন্ধ্যা ৭ টার কিছু আগে ফলাফল ঘোষনায় ডালিম প্রতীকের প্রার্থী তরিকুল বিজয়ী হলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অন্যান্য আসামীদের সহযোগীতায় সে তরিকুলের পেটে ছুরিকাঘাত করে এবং একযোগে স্থান ত্যাগ করে। এরপর ছুরিটি নিজ বাড়িতে লুকিয়ে রেখে স্ত্রীসহ ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানার ধলপুর এলাকার ভাড়া বাসায় চলে যায়।

পরদিন নিহত তরিকুলের ছেলে একরামুল হাসান হৃদয় বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৪০ জন আসামী করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. তরিকুল ইসলাম জানান,হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর