দুদকের মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর কারাগারে
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর দায়ের করা মামলায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদাতের হাকিম আশরাফুর রহমানের আদালত এই রায় দিয়েছেন বলে বার্তা বাজারকে নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবি ফরিদ আহমেদ আনসারী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ (৬০) ও তার স্ত্রী আমিনা খাতুনের (৪৭) বিরুদ্ধে অবৈধসম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে নগরীর ডবলমুরিং থানায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো: রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
আসামীর আইনজীবি ফরিদ আহমেদ আনসারী বার্তা বাজারকে বলেন, দুদকের মামলায় গত ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্ট জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তার প্রেক্ষিতে গত ৪ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত পরবর্তী ২১ জানুয়ারী ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন।
বহস্পতিবার ১২টার দিকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে, আদালত মামলার যাবতীয় কাগজ পর্যালোচনার পর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ৯ জুলাই চট্টগ্রাম-২ দুদক কার্যালয় জাফর আহমেদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিবরণী দাখিল করার নির্দেশ দেয়। তার প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ২ কোটি ৬১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৬৪ টাকার স্থাবর সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন।
দুদক এর সূত্র মতে, অনুসন্ধানে ৬ কোটি ২৩ লাখ ৮ হাজার ৭৩৫ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য উঠে আসে এবং আরো ৩ কোটি ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এছাড়া তিনি ৩৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা অস্থাবর সম্পদের ঘোষণা দিলেও তার কাছে ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৬৩৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। তার পারিবারিক ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদ ৭ কোটি ৪০ লাখ ৭৬ হাজার ১৯ টাকা পাওয়া যায় দুদকের অনুসন্ধানে।
বার্তাবাজার/এ.আর