ধামইরহাটে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে ১৫০ পরিবার

নওগাঁর ধামইরহাটে মুজিব বর্ষে ১৫০ গৃহহীন পাচ্ছেন স্বপ্নের বাড়ী। উপজেলার ৬টি স্থানে এ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করছে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এর জন্য মোট ব্যয় হচ্ছে ২ কোটি ৫৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এতে ১৫০টি পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিব বর্ষে কোন মানুষ যাতে গৃহহীণ না থাকে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বর্তমান সরকার। এর ধারাবাতিকতায় উপজেলার ৬টি স্থানে দুই শতাংশ করে খাস জমির উপর এসব গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রত্যেক গ্রহ নির্মাণের জন্য ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। প্রতিটি সেমি পাকা গৃহে থাকবে সংযুক্ত টয়লেট, রান্নাঘরসহ বারান্দা। এসব সেমি পাকা ১৫০টি দুই কক্ষ বিশিষ্ট বাড়ী নির্মাণ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এতে মোট ব্যয় হচ্ছে ২ কোটি ৫৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

উপজেলার মানপুর গ্রামে ৩৯টি, আগ্রাদ্বিগুনের কাশিপুর ৩৫টি, রসপুর ১০টি, উদয়শ্রী বেল পুকুর ১৪টি, জোতওসমান কাগজকুঠা ১৪টি এবং বৈদ্যবাটি গ্রামে ৩৮টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব গৃহের সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আগামী ২৩ জানুয়ারী ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে একযোগে গৃহহীণদের কাছে এসব গৃহ হস্তান্তর করবেন।

উপজেলার উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর গ্রামের ভূমিহীন অসহায় পুতুল মুরমু বলেন, নিজেদের কোন জায়গা জমি না থাকায় অন্যের জায়গায় কোন রকমে কুটরী ঘরে বসবাস করছি। মুজিব বর্ষে সরকারের পক্ষ থেকে মানপুর গ্রামে পাকা ঘর পেয়ে আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। আমার একটি নিজস্ব বাড়ী হবে তা কোন দিন স্বপ্নেও ভাবিনী।

খেলনা ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের ভূমিহীন হেলাল হোসেন বলেন, আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে সেমি পাকা দুইকক্ষ বিশিষ্ট বাড়ী পেয়ে খুবই উপকৃত হয়েছি। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে নিজ বাড়ীতে সুখে শান্তিতে থাকবো।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর