নান্দাইলে ভাঙ্গা কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে লক্ষাধিক মানুষের চলাচল

উপজেলায় মুশুলী-তাড়াইল পাকা সড়কে একটি কালভার্ট ভেঙ্গে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় এই সড়কের আশপাশে প্রায় পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধীক বাসিন্দা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ইজিবাইক-সিএনজি ছাড়াও ট্রাকের মত ভাড়ি যান চলাচল করে। তাই যেকোনো মুহূর্তে কালভার্টটি ধসে মৃত্যু কুপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

সরজমিনে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের মুশুলী চৌরাস্তা থেকে পাকা একটি সড়ক কালিগঞ্জ বাজার হয়ে কিশোরগঞ্জ-তাড়াইল সড়কে গিয়ে মিশেছে। ওই সড়কের ফরিদাকান্দা গ্রামে একটি কালভার্টের ইট-সুড়কির ঢালাই উঠে গিয়ে সেখানে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এই অবস্থায় সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন পন্য নিয়ে লড়ি ট্রাক সহ শতাধিক ইজিবাইক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। শীতে তীব্র কুয়াশায় কালভাটর্টি যেন মৃত্যু কুপে পরিণত হয়েছে। ফরিদাকান্দা গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পথচারীরা দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও কোন জনপ্রতিনিধি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। দিন যতই যাচ্ছে কালভার্টের এই গর্ত বড় হচ্ছে। দ্রুত এটি সংস্কার না করলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বনাটি গ্রামের ইজিবাইক চালক আলাল মিয়া ও কালিগঞ্জ এলাকার উজ্জ্বল হোসেন জানায়, ঘন কুয়াশায় প্রায় দিনই গর্তে ইজিবাইক পড়ে যাত্রীরা আহত হয়েছে। এরপরও কেউ এর সংস্কার করার উদ্যোগ নিচ্ছে না। কয়েকজন পথচারী জানিয়েছেন, সড়কটি দিয়ে চলাচলের সময় ভাঙ্গা স্থানটি পার হতে তাদের ভয় লাগে।

এই বিষয়ে রাজগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, ভাঙ্গা কালভার্টটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশল অফিসে জানানো হয়েছে।

নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী আলামিন সরকার বলেন, এই সড়কের ফরিদাকান্দা গ্রামে গর্ত হওয়া কালভার্ট ছাড়াও আরেকটি সরু কালভার্ট আছে। আমাদের অফিস থেকে দুটি কালভার্ট নতুন করে করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে কাজ শুরু করতে পারবে।

বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর