টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ

টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এম.এস.আর টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন ভুক্তভোগী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৮ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৬ বিধি ভঙ্গ করে অজ্ঞাত কারণে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত (২৯ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ ২০২০-২১ অর্থবছরের এমএসআর (মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল রিইকুইজিট) সামগ্রী ক্রয় করতে ঔষধপত্র, লিলেন, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, গজ ব্যান্ডেজ কটন, কেমিকেল রি-এজেন্ট এবং আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য ৬টি গ্রুপে দরপত্র আহবান করে। এই দরপত্রে টাঙ্গাইলসহ সারাদেশের ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে প্রান্তিক এন্টারপ্রাইজ, লোটাস সার্জিকাল এবং শামসুল হক ফার্মেসির প্রোপাইটর নামে ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন।

শিডিউলে উল্লেখিত সকল শর্তাবলী পূরণ করে ওই তিন প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। কিন্তু গত সপ্তাহে অজ্ঞাত কারণে তাদের দরপত্র বাতিল করে হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের যোগ সাজসে নিজেদের পছন্দমত ব্যক্তিদেরকে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের পছন্দের প্রতিষ্ঠানের নামে প্রস্তাব প্রেরণ করে। যা আইনসঙ্গত হয়নি বলে অভিযোগ পত্রে বলা হয়। এর আগে গত ২০১৯-২০ সালে এই তিন প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মালামাল সরবরাহে কাজ করেছেন।

এ ব্যাপারে প্রান্তিক এন্টারপ্রাইজ প্রোপাইটর কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি শিডিউলে উল্লেখিত সকল শর্তাবলী পূরণ করে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করি। আমার সকল কাগজপত্র বৈধ। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই যাচাই বাছাইয়ে আমার শিডিউল বাতিল করা হয়। যা আইনসঙ্গত হয়নি। তিনি আরো বলেন, মূলত হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের যোগ সাজসে নিজেদের পছন্দমত ব্যক্তিদেরকে কাজ পাইয়ে দিতে আমার শিডিউল বাতিল করা হয়। এর প্রতিকার চেয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহপরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমার দাবি সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ কিংবা নতুন করে টেন্ডার আহবান করা হোক।

এ ব্যাপারে লোটাস সার্জিকালের প্রোপাইটর মাজেদুর রহমান ও শামছুল হক ফার্মেসির প্রোপাইটর মোহাম্মদ শাহীন বলেন, এই দরপত্র আহবানে ১৮ থেকে ১৯টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। আমাদের শিডিউলে যাবতীয় কাগজপত্র থাকা সত্বেও অবৈধভাবে বাতিল করা হয়েছে। আমরা এই অনিয়ম বন্ধে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. সদর উদ্দিন বলেন, টেন্ডারের যাচাই বাছাইয়ে কোন অনিয়ম হয়নি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।

বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর