নকল পণ্যে সয়লাব ধোবাউড়ার বাজার

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার প্রান্তিক অঞ্চলের প্রতিটি ইউনিয়নের হাট বাজারের ছোট বড় মুদির দোকান ও গ্রামের ভিতরে আনাছে কানাছে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে নকল পণ্য।

ভোক্তার চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে অবাধে ব্যবসা করে যাচ্ছে একটি চক্র। নকল ও ভেজাল পণ্য গুলো দেখে সহজে বুঝার উপায় নেই যে এগুলো নকল। ফলে ভোক্তা আসল পণ্যের দাম দিয়ে পাচ্ছে নকল পণ্য।

অনুসন্ধান করে দেখা যায় বাজারের বড় বড় কসমেটিক দোকান গুলোতে রয়েছে নকল সাবান, নকল ক্রিম, নকল বড়ি স্প্রে, নকল শ্যাম্পু সহ অসংখ্য নকল প্রসাধনী রয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যা অবাধে ক্রেতার চোখ ফাঁকি দিয়ে রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। অথচ রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

ফলে ভোক্তা যেমন প্রতারিত হচ্ছে অন্য দিকে সরকার সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এছাড়াও ব্যাপক হারে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে নকল বিড়ি।

বর্তমানে গুটি কয়েক অসাধু ডিলার উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া দক্ষিণ মাইজপাড়া, কলসিন্দুর, আনন্দ বাজার, গোয়াতলা বাজারে দোকান এবং গ্রামের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন নকল বিড়ির গুদাম জাত করে রাতের আধারে বস্তায় ভরে রাত ৯ টার পর থেকে বিক্রি করেছে।

দামে সস্তা হওয়ায় ভোক্তারা ১ প্যাকেটের জায়গায় ২ প্যাকেট পাচ্ছে। ভোক্তা আঃ হামিদ এবং খোরশেদ আলম প্রতিবেদক কে জানান রশিদা বিড়ি এবং আকিজ বিড়ি প্রতি প্যাকেট ২০ টাকা এবং নকল বিড়ি গুলো ৮- ১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। নকল বিড়ি গুলো কম দামে বিক্রি হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ব্যান্ডের কম্পানি গুলো। সস্তায় মাদক দ্রব্য গ্রহণ করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি পড়ছে ভোক্তারা।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিকুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন টা আসল কোনটা নকল বুঝাতে একটু সমস্যা হচ্ছে । তবে নকল পণ্য রোধে মোবাইল কোর্ট চলমান আছে।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর