বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম প্রতিবাদকারী, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে স্থানীয় শহীদ মিনারে ফারুক আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গোরস্থান তার কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, শহর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি প্রমুখ।

এসময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান সুখন, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক তানভীরুল ইসলাম হিমেল, শহর যুবলীগের আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ মানিক সিকদারসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ শহরের কলেজপাড়া এলাকার নিজ বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গোয়েন্দা পুলিশ রাজা ও মোহাম্মদ আলীর নামক দুইজনকে বিগত ২০১৪ সালে গ্রেপ্তার করে।

ওই দুই আসামির জবানবন্দিতে এই হত্যার সাথে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তার অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তার পরেই আমার রহমান খান রানা ও তাঁর ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর