সেল্ফি রোডে পর্যটকদের ভিড়

ছোট বড় হাজারো গাছে ঝুলছে ছোট ছোট মাটির পাত্র। সেই পাত্রে কাটা অংশ দিয়ে গাছ বেয়ে বেয়ে পড়ছে ধবধবে সাদা দুধের মতো রাবারের কষ। শ্রমিকেরা বালতি নিয়ে পাত্র থেকে সংগ্রহ করে এই রস। পাত্রে জমা হওয়া রাবারের কষ সংগ্রহ করে শ্রমিকেরা ভারে করে আবার দূরবর্তী স্থানে গাড়িতে করে কষ নিয়ে যাচ্ছে কারখানায়। রাবারচাষিদের কর্মব্যস্ততায় মুখরিত থাকে ২ লাখ ১১ হাজার গাছের এ বাগান।

এমন দৃশ্য যেকোন সৌন্দর্যপুজারীর মন কেড়ে নিবে সহজে। এমনই দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ভিড় জমায় নানানপ্রান্তের দর্শনার্থীরা।করোনা পরিস্থিতিতে সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় ভ্রমন পিপাসু পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে এই “সেল্ফি রোড”।

৪৬৯১ একক (প্রায়) বিশাল অঞ্চল নিয়ে আয়তনে সর্ববৃহৎ রাবার বাগান হিসেবে এশিয়া মহাদেশের স্থান করে নেয়া “দাঁতমারা রাবার বাগান” যা চট্টগ্রাম শহর হতে ৬৫ কি.মি (প্রায়)দুরে ফটিকছড়ির শেষ সীমান্তে ফেনী ও খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় মহাসড়ক হতে দুই ধারে রাবারগাছে বেষ্টিত কালো পিচঢালা ৩.৮১০ কি:মি দুরত্ব নিয়ে এই সড়কের অবস্থান।

জানা যায়, প্রথম দিকে সড়কটির নাম নতুন সড়ক থাকলেও পরবর্তীতে রাবার বাগানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা সড়কটির অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নাম রাখেন সেল্ফি রোড়। পরে ভ্রমনপিপাসু দের কাছে সেল্পি রোড় নামে পরিচিত হয়ে উঠে চারিদিকে রাবারগাছে বেষ্টিত এই সড়কটি।

এই সড়ক দেখতে প্রতি দিন হাজারো পর্যটক আসছেন। ছবি-বার্তা বাজার

সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে প্রকৃতির অপরূপ নিদর্শনে ঘেরা এই সড়কে ভ্রমন পিপাসুদের পদাচারনে মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠেছে পুরো দাঁতমারা রাবারবাগান এলাকা।দেশের দুরদুরান্ত থেকে প্রকৃতির মুগ্ধতা আর দুষণমুক্ত অক্সিজেন গ্রহন করতে ছুটে এসেছে হাজারো দর্শনার্থীরা।কথা হয় বেশ কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথে।

চট্টগ্রাম নগরী থেকে ঘুরতে আসা পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক বার্তা বাজারকে জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ঘর বন্দি হয়ে ছিলাম। তাই বন্ধুদের সাথে বাইক নিয়ে ঘুরতে আসলাম এই সেল্ফি রোড়ে।

সেল্পি রোড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা মুসলিম চ্যারিটি ইউকের বাংলাদেশ কান্ট্রি কোঅরডিনেটর ফজলুল করিম বার্তা বাজারকে বলেন, দূর্দান্ত সুন্দর একটি রোড, দুপাশে সবুজের হাতছানি, রাস্তাটাও নিখুত পরিষ্কার, বিকেলের দিকে চটপটি ফুসকার দোকান থাকে, বিশুদ্ধ প্রকৃতির মুগ্ধতা আর বুক ভরা দূষনমুক্ত অক্সিজেনে ভরপুর এই সেল্পি রোড়। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই সড়ককে ঘিরে পর্যটককেন্দ্র তোলা সম্ভব বলেও জানান।

যেভাবে যাবেন: চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড় থেকে খাগড়াছড়ি, হেয়াকো বা ফটিকছড়িগামী যেকোনো বাসে উঠে ফটিকছড়ির বিবিরহাট বাস স্ট্যান্ডে নেমে। যেকোন যানবাহন যোগে সেল্ফী রোডে যাওয়া যাবে। এছাড়াও ফেনী জেলা সদর হতে মিরশরায় বারৈরহাট হয়ে যে কোন যানবাহন যোগে যাওয়া যাবে হেয়াকো সেল্ফি রোডে।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর