গোলাপগঞ্জে চায়ের কাপে ভোটের আমেজ

প্রতীক বরাদ্দের পর পরই সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৪ মেয়র, ৪৭ পুরুষ কাউন্সিলর ও ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নেমেছেন প্রচারে। পৌর এলাকার প্রতিটি অলি-গলিতে এখন ভোটের উৎসবমুখর পরিবেশ। চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মিছিল, মাইকিংসহ ভোটারদের কাছে নিজেকে তুলে ধরা।

পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকা নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সর্বত্র আলোচনা শুধু পৌর নির্বাচন নিয়ে। পৌরসভার অলি-গলির চায়ের দোকানেও নির্বাচনী ঝড় বইছে। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, রিকশাচালক, আগন্তুক, দিনমজুরসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যারাই চায়ের দোকানে বসছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাই নির্বাচনী আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। বিভিন্ন প্রার্থীর প্রশংসা, উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরাসহ চলছে সমালোচনাও। চায়ের কাপের টুং টাং শব্দের সঙ্গে যেন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ভোটের হাওয়ায়।

দেখা গেছে, পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেও মানুষের মুখে মুখে নির্বাচনের কথা ছিল। সকাল থেকে শুরু করে ঠান্ডা উপেক্ষা করেও এক সঙ্গে কয়েকজন বসলেই চলত তাদের মধ্যে নির্বাচনী আলোচনা। শুধু পৌর এলাকার প্রতিটি অলি-গলি নয়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সবার মুখে মুখে ছিল পৌরসভা নির্বাচন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।

সরেজমিনে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র পৌর শহরের চৌমুহনী ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি চায়ের দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্টে চায়ের কাপে চুমুকের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী আলাপচারিতায় ব্যস্ত সবাই। আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ৪ মেয়র প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মো. রুহেল আহমদ, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু ও ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহীনকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। শুধু চায়ের দোকান বা হোটেল-রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহনসহ সব জায়গাতেই চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ।

ঘোগারকুলে একটি চায়ের দোকানে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ভোটের হালচাল নিয়ে আলোচনা করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ওলিউর রহমান। তিনি পেশায় একজন গাড়িচালক। তার আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন স্থানীয় আরও কয়েকজন। চা খেতে খেতে কথা হয় ওলিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুরো পৌর এলাকাজুড়ে এখন ভোট আর রাজনৈতিক আলোচনা। আমাদের দেশের মানুষ রাজনৈতিক বিষয়ে খুবই আগ্রহী।’

চায়ের দোকানি জয়নুল আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনী হাওয়া শুরুর পর চা বিক্রি বেড়ে গেছে। কারণ সবাই এসে স্টলে বসে নির্বাচন, রাজনীতি নিয়ে আলোচনা আর একের পর এক চা-সিগারেট খাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ৪ জন মেয়র প্রার্থী, ৪৭ জন পুরুষ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ২২ হাজার ৯শ ১৬ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৬শ ৯৪ জন এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৩শ ১৯ জন।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর