ইভিএম জটিলতার অভিযোগ নৌকা প্রার্থীর

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া পৌর এলাকার ৩টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম জটিলতার কারণে ভোটাররা ভোট দিতে না পেরে চলে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

গতকাল শনিবার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান আক্তার চামচ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন।

তিনি ৮ হাজার ৩শ ৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের মিজানুর রহমান ভূঁইয়া পান ৮ হাজার ১৮ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হারুন অর রশিদ পান ৮শ ১৭ ভোট।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেছেন, পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জগন্নাথপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইকড়ছই ফাজিল মাদরাসা ভোটকেন্দ্রের দ্বিতীয়তলার দক্ষিণ পাশে ও পশ্চিম পাশের কেন্দ্রে ইভিএম জটিলতায় অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেননি। অনেক ভোটার ও কেন্দ্রে থাকা আমার এজেন্ট বিষয়টি আমাকে জানালে আমি মুঠোফোনে ইভিএম মেশিনের চার্জ না থাকা ও মেশিনের কারিগরি ত্রুটির কথা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

তিনি টেকনিশিয়ান পাঠিয়ে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দেন। এর মধ্যে অনেক ভোটার ভোট প্রয়োগ না করে ফিরে যান। ওই তিনটি কেন্দ্রে পরবর্তীতে অনেক ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারেননি। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় অনেক নারী ও পুরুষ ভোটার ভোট না দিয়ে বাড়ি চলে যান। এতে করে জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে সঠিকভাবে মানুষের ভোটের প্রতিফলন ঘটেনি বলে আমি মনে করি। নির্বাচন কমিশন যেহেতু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের প্রতিফলনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাই বঞ্চিত ভোটারদের ভোট প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়া কমিশনের দায়িত্ব।

তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

জগন্নাথপুর পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তিনি (মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া) ছাড়াও কাউন্সিলর এবং আরও মেয়র প্রার্থী নির্বাচন করেছেন। কারও কোনো অভিযোগ পাইনি। আজকে তিনি জটিলতা নিয়ে অভিযোগ করছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ইভিএম মেশিন দেওয়া ছিল নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে।

এছাড়া যেকোনো জটিলতা এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধান করতে নির্বাচন কমিশনের টেকনিক্যাল টিম প্রস্তুত ছিল। আমি ভোটের দিন বেলা ২টা পর্যন্ত ওই স্থানে ছিলাম।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর