বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় দেশে চতুর্থ নোবিপ্রবি

গবেষণার ক্ষেত্রে ২০২০ সালে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থান দখল করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্কোপাস ডাটাবেইজের বিভিন্ন উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের গবেষণা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী ম্যাগাজিন সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ।

২০২০ সালে গবেষণা নিবন্ধসহ ৮ হাজার ১৪০টি বৈজ্ঞানিক ডকুমেন্টস প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। প্রকাশের ক্ষেত্রে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে শাবিপ্রবি।

অন্যদিকে, একই সংস্থার অন্য পরিসংখ্যানে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪ তম অবস্থানে রয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল, বই ও গবেষণা সম্মেলনগুলোর তথ্য নিয়ে কাজ করা স্কোপাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর নোবিপ্রবির গবেষকরা ১৫০টি বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার উল আলম বলেন,” যেসকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গবেষণা কর্মের ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় এই স্থান অর্জিত হলো তাদের সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল। এছাড়াও তিনি নোবিপ্রবিকে প্রচার-প্রচারণায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী সংগঠন নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, আমাদের গবেষকরা এই বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন সময়েও থেমে থাকেন নি। সর্বদা ভালো কাজ দ্বারা নোবিপ্রবিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের গবেষকদের এ ধারা যেন অব্যাহত থাকে সেই কামনা করি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় নোবিপ্রবিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছি। কারো যদি Q1,Q2 তে আর্টিকেল পাবলিশড হয় তিনি পাবেন ১০ হাজার টাকা; Q3,Q4 হলে ৭ হাজার টাকা, ইনডেক্স স্কোপাসে পাবলিশড হলে ৫ হাজার টাকা। ২০১৫ সালে যেখানে নোবিপ্রবির জন্য গবেষণায় বাজেট ছিলো ১৩ লাখ টাকা এখন তা বেড়ে দেড় কোটি টাকা। আশা করি শিক্ষা ও গবেষণায় নোবিপ্রবি অনেকদূর এগিয়ে যাবে।

অন্যদিকে,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় দেশে প্রথম স্থান দখল করা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( শাবিপ্রবির) গবেষকরা গত বছর ৩১০টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। ২১৪টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।

উল্লেখ, বিগত বছর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় নোবিপ্রবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বেশ সফলতা অর্জন করে। এরমধ্যে,গ্লাইসের শেখমুজিবি’ (Glycera sheikhmujibi) নামে নোয়াখালীর হাতিয়া উপকূলের জলাভূমি থেকে নতুন অমেরুদণ্ডী প্রাণী (পলিকীট প্রজাতি) সন্ধান পান নোবিপ্রবির মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।

এছাড়াও, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গোল্ড ন্যানো পার্টিকেলের মাধ্যমে করোনা শনাক্তকরণের কিট তৈরি করতে সক্ষম হন নোবিপ্রবির ২ গবেষক- এপ্লাইড কেমেস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ। গতবছর, নোবিপ্রবি ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে ১০০টি করোনাভাইরাসের জীবন রহস্য উম্মোচন কার্যক্রম শুরু হয়।

বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর